বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং হলো দারাজ

দারাজ বাংলাদেশের ইতিহাস এবং তার উত্থান বেশ আকর্ষণীয়। এটি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং খুব দ্রুতই দেশের অন্যতম বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।রাজ বাংলাদেশ ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

দারাজ বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর থেকে দ্রুত বর্ধনশীল ই-কমার্স বাজারে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নেয়।দারাজ প্রথমদিকে ফ্যাশন পণ্য বিক্রি শুরু করলেও পরবর্তীতে ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালী সামগ্রী, বিউটি প্রোডাক্টস এবং অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিস্তৃত হয়।২০১৮ সালে দারাজকে চীনের বৃহত্তম ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবা গ্রুপ অধিগ্রহণ করে। 

পোষ্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং হলো দারাজ

দারাজের পণ্যের বিভিন্ন ক্যাটাগরি

দারাজ বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায়, যা প্রধান কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত

  • মোবাইল ফোন ও আনুষঙ্গিক পণ্য: দারাজে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন, যেমন স্যামসাং, অ্যাপল, শাওমি, হুয়াওয়ে ইত্যাদি পাওয়া যায়। এছাড়া মোবাইল ফোনের কেস, স্ক্রিন প্রোটেক্টর, চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি।
  • কম্পিউটার ও ল্যাপটপ: ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাবলেট, প্রিন্টার, স্ক্যানার, হার্ডডিস্ক এবং কম্পিউটার পেরিফেরালস।
  • গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক্স: টেলিভিশন, ফ্রিজ, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কন্ডিশনার, এবং অন্যান্য গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি।
  • পুরুষদের ফ্যাশন: পোশাক, জুতা, ঘড়ি, সানগ্লাস, এবং অন্যান্য অ্যাকসেসরিজ।

  • নারীদের ফ্যাশন: শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, টপস, স্কার্ট, জুয়েলারি, ব্যাগ এবং জুতা।
  • শিশুদের পোশাক: বাচ্চাদের পোশাক, খেলনা, এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য।
  • কসমেটিক্স: মেকআপ প্রোডাক্ট, স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট।
  • স্বাস্থ্যসেবা পণ্য: স্বাস্থ্য সাপ্লিমেন্ট, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম, ব্যায়াম যন্ত্রপাতি।
  • ফার্নিচার: সোফা, টেবিল, চেয়ার, বেড এবং অন্যান্য গৃহস্থালি আসবাব।
  • হোম ডেকর: ওয়াল আর্ট, কার্পেট, ল্যাম্প, এবং অন্যান্য হোম ডেকর আইটেম।
  • কিচেন ও ডাইনিং: কুকিং সরঞ্জাম, ডিনার সেট, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স।
  • প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য: চাল, ডাল, তেল, মশলা, চা, কফি।
  • নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী: স্ন্যাকস, বেভারেজ, ক্যানড ফুড, বেকারি প্রোডাক্ট।
  • খেলাধুলার সরঞ্জাম: ফুটবল, ক্রিকেট ব্যাট, ব্যাডমিন্টন র‍্যাকেট, জিম সরঞ্জাম।
  • আউটডোর গিয়ার: ক্যাম্পিং সরঞ্জাম, সাইকেল, আউটডোর অ্যাপারেল।

দারাজের সেবা

দারাজ বাংলাদেশ একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে দেশব্যাপী নানাবিধ সেবা প্রদান করে থাকে, যা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য কেনাকাটা এবং ব্যবসা করার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে তোলে। দারাজের প্রধান সেবাগুলি নিম্নরূপ:
  •  দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সেবা: দারাজ তার নিজস্ব এবং তৃতীয় পক্ষের লজিস্টিক পার্টনারদের মাধ্যমে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সেবা প্রদান করে। দারাজ ফাস্ট ডেলিভারি এবং ইকো-ফ্রেন্ডলি ডেলিভারি সেবা প্রদান করে, যাতে ক্রেতারা দ্রুত এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে তাদের পণ্য গ্রহণ করতে পারেন।
  • সহজ রিটার্ন এবং রিফান্ড পলিসি: দারাজের রিটার্ন এবং রিফান্ড পলিসি সহজ এবং ঝামেলামুক্ত। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতারা পণ্য ফেরত দিতে পারেন এবং রিফান্ড পেতে পারেন। এই পলিসি ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা বাড়ায় এবং অনলাইন কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে।
  •  বিভিন্ন পেমেন্ট অপশন: সকল প্রধান ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড গ্রহণ করা হয়। বিকাশ, নগদ, রকেট সহ অন্যান্য মোবাইল পেমেন্ট পদ্ধতি। পণ্য গ্রহণের সময় নগদে পেমেন্ট করার সুযোগ।
  • দারাজমল: দারাজমল হলো দারাজের একটি বিশেষ সেকশন, যেখানে শুধুমাত্র অফিসিয়াল ব্র্যান্ড স্টোর থেকে পণ্য বিক্রি করা হয়। দারাজমলের মাধ্যমে ক্রেতারা অরিজিনাল এবং গ্যারান্টিযুক্ত পণ্য ক্রয় করতে পারেন।
  • কাস্টমার সাপোর্ট: দারাজ ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট প্রদান করে। লাইভ চ্যাট, ইমেইল এবং ফোনের মাধ্যমে ক্রেতারা সহজেই তাদের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। দারাজের কাস্টমার সাপোর্ট টিম দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
  •  প্রমোশন এবং ডিসকাউন্ট:দারাজ নিয়মিতভাবে বিভিন্ন প্রমোশন এবং ডিসকাউন্ট অফার করে। বড় সেল ইভেন্ট যেমন ১১.১১ সেল, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, ঈদ সেল ইত্যাদি আয়োজন করা হয়। এছাড়া ক্রেতারা বিভিন্ন কুপন এবং ডিসকাউন্ট ভাউচার ব্যবহার করে সুবিধা পেতে পারেন।
  • সিকিউরিটি এবং নিরাপত্তা: দারাজ গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এনক্রিপ্টেড পেমেন্ট গেটওয়ে এবং নিরাপদ লেনদেনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা হয়।
  • সেলফ-পিকআপ:দারাজ নির্দিষ্ট কিছু স্থানে সেলফ-পিকআপ পয়েন্ট স্থাপন করেছে, যেখানে ক্রেতারা তাদের অর্ডার করা পণ্য সরাসরি সংগ্রহ করতে পারেন। এটি বিশেষ করে যারা নির্দিষ্ট সময়ে ডেলিভারি নিতে পারেন না, তাদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক।
  • বিক্রেতাদের জন্য সেবা: বিক্রেতারা তাদের পণ্য আপলোড, মূল্য নির্ধারণ এবং অর্ডার ব্যবস্থাপনা করতে পারেন।দারাজ বিক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং সহায়তা প্রদান করে, যাতে তারা তাদের ব্যবসা সফলভাবে পরিচালনা করতে পারেন।দারাজ বিক্রেতাদের জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করে, যাতে তাদের পণ্য দ্রুত এবং সুরক্ষিতভাবে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো যায়।
  • ভেরিফাইড রিভিউ এবং রেটিং:দারাজ ক্রেতাদের জন্য ভেরিফাইড রিভিউ এবং রেটিং সিস্টেম প্রবর্তন করেছে, যাতে ক্রেতারা পণ্য কেনার আগে অন্যান্য ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা জানতে পারেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

দারাজ বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ

দারাজ বাংলাদেশ দেশের অন্যতম বৃহৎ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুবাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি প্রদান করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শহরাঞ্চলে ডেলিভারি অপেক্ষাকৃত সহজ হলেও গ্রামাঞ্চল এবং দূরবর্তী এলাকায় ডেলিভারি ব্যবস্থা কঠিন।খীন হয়েছে।

অনেক সময় বিভিন্ন বিক্রেতা নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করে, যা ক্রেতাদের আস্থা নষ্ট অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। সাইবার ক্রাইম এবং তথ্য চুরির ঝুঁকি থাকে।করে। এছাড়া ভুয়া পণ্য বিক্রির ঝুঁকিও রয়েছে।অনলাইন কেনাকাটায় অনেক সময় পণ্য প্রত্যাশিত মানের না হলে তা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া ঝামেলাপূর্ণ হতে পারে।


ক্রেতাদের সন্তুষ্ট রাখতে দ্রুত এবং সহজ রিটার্ন এবং রিফান্ড প্রক্রিয়া প্রয়োজন।নতুন ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করা এবং ব্র্যান্ডের সচেতওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের প্রযুক্তিগত ত্রুটি এবং সিস্টেম ডাউনটাইম ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে খারাপ করতে পারে। এটি সমাধান করতে নিয়মিত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রয়োজন।নতা বৃদ্ধি করা একটি চ্যালেঞ্জ। প্রচলিত বাজারে দারাজের পরিচিতি বাড়ানো প্রয়োজন।অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নতুন বিক্রেতাদের সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনার প্রশিক্ষণ দেওয়া চ্যালেঞ্জিং।

বিক্রেতাদের সঠিক নিয়ম এবং প্রক্রিয়া শেখানো প্রয়োজন।বাংলাদেশের ই-কমার্স বাজারে বিভিন্ন প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দারাজকে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হয় এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে হয়।বিভিন্ন মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা চ্যালেঞ্জিং। ডিজিটাল এবং ট্রাডিশনাল মিডিয়া উভয়ের মাধ্যমেই কার্যকরী মার্কেটিং করতে হয়।

দারাজ বাংলাদেশ চ্যালেেরঞ্জ সমাধান

প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দারাজ বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা তাদের সফলতা অর্জনে সহায়ক হয়েছে।দারাজ নিজস্ব এবং তৃতীয় পক্ষের লজিস্টিক পার্টনারদের সাথে কাজ করে উন্নত লজিস্টিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। এর মাধ্যমে দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করা হয়েছে।

দারাজমলের মাধ্যমে অফিসিয়াল ব্র্যান্ড স্টোর থেকে অরিজিনাল এবং গ্যারান্টিযুক্ত পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা বাড়িয়েছে।দারাজ এনক্রিপ্টেড পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে ক্রেতাদের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত রেখেছে।দারাজের রিটার্ন এবং রিফান্ড প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত করা হয়েছে, যা ক্রেতাদের সন্তুষ্টি বাড়িয়েছে।

দারাজ ২৪/৭ কাস্টমার সার্ভিস প্রদান করে, যা ক্রেতাদের দ্রুত সমস্যার সমাধান দেয় এবং তাদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করে।দারাজ বিভিন্ন প্রমোশন এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং নতুন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে।ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের নিয়মিত উন্নয়ন এবং ত্রুটি সংশোধন করা হয়েছে, যা ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে উন্নত করেছে।

দারাজ বিক্রেতাদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আয়োজন করে, যাতে তারা অনলাইন ব্যবসা পরিচালনা শিখতে পারে এবং সফল হতে পারে।দারাজ নিয়মিত প্রমোশন, ডিসকাউন্ট এবং এক্সক্লুসিভ ডিলস প্রদান করে, যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সহায়ক হয়।

দারাজ বিভিন্ন ডিজিটাল এবং ট্রাডিশনাল মার্কেটিং চ্যানেল ব্যবহার করে কার্যকরী মার্কেটিং করে, যা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এবং ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়াতে সহায়ক।দারাজ বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে এবং সফলভাবে সেগুলোর সমাধান করেছে। তাদের কার্যকরী পদক্ষেপগুলি ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে আস্থা এবং সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।

 দারাজের এই কার্যকরী পদক্ষেপগুলো তাদের সফলতার মূল চাবিকাঠি এবং ভবিষ্যতে আরও উদ্ভাবনী সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের ই-কমার্স খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

দারাজ বাংলাদেশের  ভূমিকা এবং অবদান

দারাজ বাংলাদেশে ই-কমার্সের অগ্রযাত্রায় একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাদের অবদান এবং কার্যক্রম বাংলাদেশের অনলাইন শপিং সংস্কৃতিকে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করেছে।দারাজ বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতকে একটি সঠিক ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে। এর মাধ্যমে ক্রেতারা ঘরে বসেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে সক্ষম হয়েছেন।দারাজ দেশের বিভিন্ন স্থানে ই-কমার্সের মাধ্যমে নতুন বাজার সৃষ্টি করেছে।

 শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে।দারাজ হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার (SME) জন্য একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করেছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য সহজে সারা দেশে বিক্রি করতে পারছেন।


দারাজ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ব্র্যান্ডকে প্রচার করেছে, যা তাদের পণ্যের ব্যাপ্তি বৃদ্ধি করেছে এবং ক্রেতাদের কাছে সহজে পৌঁছাতে সহায়ক হয়েছে।দারাজ তাদের প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং উদ্ভাবন চালিয়ে যাচ্ছে, যা ক্রেতাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ এবং নিরাপদ করে তুলেছে।

দারাজ বিভিন্ন ধরনের পণ্য এক জায়গায় সরবরাহ করে, যা ক্রেতাদের জন্য কেনাকাটা সহজ এবং সুবিধাজনক করেছে। এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই তারা ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন, গ্রোসারি, বিউটি প্রোডাক্ট ইত্যাদি কিনতে পারেন।দারাজ বিভিন্ন পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক মূল্য এবং নিয়মিত ডিসকাউন্ট ও প্রমোশন অফার করে, যা ক্রেতাদের জন্য সাশ্রয়ী কেনাকাটার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

দারাজ দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি সেবা প্রদান করে, যা ক্রেতাদের জন্য একটি বড় সুবিধা। তারা দ্রুত পণ্য ডেলিভারি করে ক্রেতাদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করে।দারাজ এনক্রিপ্টেড পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে ক্রেতাদের ব্যক্তিগত এবং আর্থিক তথ্য সুরক্ষিত রেখেছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করেছে।

দারাজ ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট প্রদান করে, যা ক্রেতাদের দ্রুত সমস্যার সমাধান দেয় এবং তাদের সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করে।দারাজের রিটার্ন প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং দ্রুত। ক্রেতারা অর্ডার করা পণ্য ফেরত দিতে চাইলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা করতে পারেন এবং দ্রুত রিফান্ড পেতে পারেন।

দারাজ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

দারাজ বাংলাদেশ এখন ই-কমার্স শেখানো এবং প্রবর্তন করার পথে এগিয়ে আসে। তাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা অন্যান্য উন্নয়নশীল কার্যক্রম ও নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেকগুলি দিকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা হয়েছে।

দারাজ প্রযুক্তি এবং ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এআই এবং মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে প্রেক্ষাপণী অ্যানালিটিক্স, ব্যবসায়িক বিশ্লেষণ, ক্রেতাদের পোষ্যাক এবং আগ্রহপূর্ণতা প্রোফাইল তৈরি করে কেনাকাটা অভিজ্ঞতাকে সহজ ও প্রভাবশালী করতে চেষ্টা করছে।দারাজ নতুন প্রযুক্তিতে নিজস্ব মাধ্যমে অনুসন্ধান এবং উন্নয়ন করছে যাতে গ্রাহকদের দিকে আরও ভাল পরিসেবা প্রদান করা যায়।দারাজ তাদের প্রেজেন্টেশন আরও বাড়িয়ে দিতে চায়, সক্ষম হতে পারেন এবং আদর্শ প্রতিষ্ঠান হতে চায়।
দারাজ বাংলাদেশে প্রতিযোগিতামূলক মূল্য এবং নীতির অভিবাসন দিয়ে ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হতে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়।দারাজ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানের উত্থান এবং প্রগতির জন্য নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন প্রদান করছে এবং মান নিরীক্ষণ করছে।দারাজ বাংলাদেশ স্থানীয় সমাজের উন্নতি এবং উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সাহায্য ও অন্যান্য উপায়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপগুলি পূর্বে থেকেই দারাজ বাংলাদেশ ই-কমার্সের মূল অংশ হিসেবে গণ্য হয়েছে, এবং এগারো তাদের সাফল্যের আগামী দিকগুলি সমর্থন করবে। এই পরিকল্পনা ও পদক্ষেপগুলি দ্বারা দারাজ বাংলাদেশ পরবর্তী দশকের ই-কম।

উপসংহার

দারাজ বাংলাদেশ, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিত, প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির উপর একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে। দারাজ বাংলাদেশের উচ্চ প্রয়োজনীয় এবং পরিসেবা সাপোর্ট প্রদান করে এবং আগামী দিকগুলি বিবেচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে থাকবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url