চন্দনের গুঁড়া দিয়ে ত্বক ফর্সা করার ১০ টি উপায় জেনে নিন

আপনি কি চন্দনের গুঁড়া দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় জানার জন্য অনেক খোঁজাখুজি করেছেন, কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পাননি? এই নিবন্ধে আমি চন্দন দিয়ে ত্বক ফর্সা করার পদ্ধতি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করব। 

আপনারা যদি চন্দন গুঁড়া দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়গুলো জানতে চান, তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এতে চন্দন সম্পর্কিত সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

পোস্ট সূচিপ্ত্রঃচন্দনের গুঁড়া দিয়ে ত্বক ফর্সা করার ১০ টি উপায় জেনে নিন

ভূমিকা

ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে চন্দনের গুঁড়া ব্যবহারের প্রচলন বহু প্রাচীন। এই প্রাকৃতিক উপাদানটির বিশেষ গুণাগুণ ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তোলে। বর্তমান যুগেও চন্দনের গুঁড়া ত্বকের যত্নে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ত্বকের ফর্সাভাব বৃদ্ধি করতে অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন, কিন্তু প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে চন্দন বিশেষভাবে কার্যকরী। চন্দনের গুঁড়া ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করার উপায়গুলো সহজ এবং ঘরে বসেই করা যায়, যা ত্বকের ক্ষতি না করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

আরো পড়ুনঃডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অপরিহার্য ১০টি উপায় জেনে নিন

এই প্রাকৃতিক উপায়গুলো ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকরী, যা ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। চন্দনের গুঁড়া ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো নিবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আশা করি এটি আপনাদের ত্বকের যত্নে অনেক উপকারে আসবে।

আসল চন্দনের গুঁড়া চেনার উপায়

আসল চন্দনের গুঁড়া চেনা অনেক সময়ে কঠিন হতে পারে, কারণ বাজারে অনেক নকল এবং নিম্নমানের চন্দনের গুঁড়া পাওয়া যায়। তবে কিছু সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি আসল চন্দনের গুঁড়া চেনার উপায় জানতে পারেন। আসুন, আমরা আসল চন্দনের গুঁড়া চেনার কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

চন্দনের গুঁড়ার ঘ্রাণঃআসল চন্দনের গুঁড়ার বিশেষ ঘ্রাণ থাকে যা মিষ্টি এবং মনমুগ্ধকর। এই ঘ্রাণ অনেক সময় ধরে স্থায়ী থাকে। নকল চন্দনের গুঁড়ার ঘ্রাণ হয় অনেক কম স্থায়ী এবং তীব্র।

চন্দনের গুঁড়ার রঙঃআসল চন্দনের গুঁড়ার রঙ হালকা বাদামি বা ক্রিমের মতো হয়। নকল গুঁড়া অনেক সময়ে অনেক গাঢ় বা ফিকে রঙের হতে পারে।

 চন্দনের গুঁড়া সাথে পানির মিশ্রণঃএকটু চন্দনের গুঁড়া নিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। আসল চন্দন সহজেই পানির সাথে মিশে মসৃণ পেস্ট তৈরি করবে। নকল চন্দন পানির সাথে মিশলে সহজে মসৃণ পেস্ট হবে না এবং তাতে ছোট ছোট দানা থাকতে পারে।

চন্দনের গুঁড়ার দাগ পরীক্ষাঃচন্দনের গুঁড়া ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিন। আসল চন্দন ত্বকে একটি হালকা হলুদাভ দাগ তৈরি করবে যা কিছুক্ষণের মধ্যে মিশে যাবে। নকল চন্দন ত্বকে কোন প্রকার দাগ তৈরি করতে পারে না বা করলে তা অস্বাভাবিক হতে পারে।

চন্দনের গুঁড়া ও দুধ দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়

চন্দন পাউডার তার আশ্চর্যজনক সুবিধার জন্য ত্বকের যত্নের রুটিনে শতাব্দী ধরে ব্যবহার করা হয়েছে। এর প্রভাব বাড়ানোর অন্যতম সেরা উপায় হল এটি দুধের সাথে একত্রিত করা। দুধ শুধুমাত্র একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার নয়, এতে ল্যাকটিক অ্যাসিডও রয়েছে যা ত্বকের স্বরকে হালকা করতে এবং ফর্সা বর্ণকে উন্নীত করতে সাহায্য করে। একসাথে ব্যবহার করা হলে, চন্দন গুঁড়ো এবং দুধ আপনার ত্বকের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে।

প্রাথমিকভাবে, আপনি সাদা গুঁড়া পাউডার এবং একটি ছোট পরিমাণ দুধ মিশান একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন একটি সহজ মুখ মাস্ক তৈরি করতে পারেন এবং একটি মসৃণ মিশ্রণ মিশ্রণ করতে পারেন এবং এটি তার মুখ ও গলার উপর সমানভাবে প্রযোগ করুন এবং এরপর ১৫-২০ মিনিট ধরে রাখুন তারপর হালকা পানিতে পানি ধুয়ে ফেলুন এই মুখ মাস্ক না কেবল আপনার ত্বকের রঙ উন্নতি করবে, বরং এটি তাকে মন্দ এবং পরিপূর্ণ অনুভূতি থেকে রেখে দেবে।

চন্দনের গুঁড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের টোন সমান করে। এর প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক গুণাগুণ ত্বকের ব্রণ ও ফুসকুড়ি কমাতে সহায়ক। অন্যদিকে, দুধ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে, যা ত্বককে আরও মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।

চন্দনের গুঁড়া ও গোলাপ জল দিয়ে ত্বকের দাগ দূর করার উপায়

চন্দনর গুঁড়া ও গোলাপ জল হল প্রাচীন এবং প্রভাবশালী প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের যত্ন নিতে সাহায্য করে। চন্দন ত্বককে ঠাণ্ডা করে এবং ত্বকের রক্তচাপ কমায়, তার ফলে ত্বকের মধ্যে রক্তচাপের দ্বারা গঠিত দাগ পরিষ্কার করে। অতএব, চন্দনের গুঁড়া মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা দাগগুলির ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।

গোলাপ জল হল অন্য একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের রং উজ্জ্বল এবং পরিষ্কার করে ফেলে। এটি ত্বকের মধ্যে অবন্ধনশীল ত্রৈলোক্যর পরিস্কার করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের অসমান্য দাগগুলির মুক্তি দিতে পারে।

চন্দনের গুঁড়া এবং গোলাপ জল একত্রিত করে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ত্বকের পরিষ্কারও করতে সাহায্য করতে পারে এবং দাগের ক্ষতিকারক প্রভাবও হ্রাস করতে পারে। এই সহজ উপায়ে দিনের প্রচণ্ড গতির সময়েও ত্বক যত্ন নিতে সম্ভব হতে পারে।

চন্দনের গুঁড়া ও মুলতানি মাটি দিয়ে ত্বকের রং উজ্জ্বল করার উপায়

চন্দনের গুঁড়া ও মুলতানি মাটি হল প্রাচীন এবং প্রভাবশালী প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের রং উজ্জ্বল ও চমকপ্রদ করতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলির ব্যবহার ত্বকের যত্ন নিতে সহায়ক এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক।

চন্দনের গুঁড়াঃ চন্দনের গুঁড়া ত্বকের যত্নের জন্য অত্যন্ত পরিচিত। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা করে এবং রক্তচাপ নির্মূল করে যা ত্বকের পরিষ্কারও করতে সাহায়ক। চন্দনের গুঁড়া রোগনশীল ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত ভাল উপায় হতে পারে, যা ত্বককে পরিমাণিত এবং উজ্জ্বল করতে সাহায়ক। এটি যেমন সুগন্ধময়, তারপর ত্বককে মিশ্রিত করে এবং ত্বকের রঙের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায়ক হয়, এক্ষেত্রে চন্দনের গুঁড়া ব্যবহার করা হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মুলতানি মাটিঃ মুলতানি মাটি বা মুলটানি মাটি হল একটি প্রাচীন প্রাকৃতিক উপাদান, যা ত্বকের ত্বকের তেলপোষণ নির্মূল করে এবং ত্বকের রং উজ্জ্বল করে। এটি পরিস্কার এবং স্বচ্ছ ত্বকের জন্য খুব প্রভাবশালী। মুলতানি মাটি একটি প্রকৃতিগত বর্ণ সংশোধক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, যা ত্বকের যত্ন নিতে সাহায়ক হতে পারে।

চন্দনের গুঁড়া ও মুলতানি মাটি ব্যবহারঃ চন্দনের গুঁড়া এবং মুলতানি মাটি একত্রিত করে তাদের ব্যবহার ত্বকের জন্য খুব প্রভাবশালী হতে পারে। প্রথমে এই দুটি উপাদান মিশে তৈরি হতে পারে একটি মাস্ক অথবা পেস্ট। এটি মুখে একটি সময়ের জন্য রেখে দিতে পারে, এবং পরে পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হয়, যাতে ত্বক শুষ্ক ও সুন্দর হয়ে যায়। এই উপায় দিয়ে ত্বকের রঙের উজ্জ্বলতা ও জীবনকে বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

এই উপায়গুলি ব্যবহার করলে আপনি ত্বকের রঙের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সফল হতে পারেন। সাথে সাথে এটি আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ও সুন্দরতা বজায় রাখবে।

চন্দনের গুঁড়া ও নারকেল তেল দিয়ে ত্বক মোলায়েম করার উপায়

চন্দনের গুঁড়া ও নারকেল তেল হল দুটি প্রাকৃতিক উপাদান যা ত্বকের মোলায়েম করার জন্য অত্যন্ত প্রভাবশালী হতে পারে। চন্দনের গুঁড়া ত্বককে ঠাণ্ডা করে এবং রক্তচাপ নির্মূল করে যা ত্বকের পরিষ্কারও করতে সাহায্য করে। এর সাথে নারকেল তেল হল একটি অমুল্য ত্বক পরিমাণ নির্মাণে সাহায্য করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। এই উপায়গুলি একত্রিত করে আপনি একটি প্রভাবশালী ত্বক মোলায়েম প্রদান করতে পারেন।

চন্দনের গুঁড়া : চন্দনের গুঁড়া ত্বকের জন্য একটি প্রাচীন ঔষধি হিসেবে পরিচিত। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা করে এবং রক্তচাপ নির্মূল করে যা ত্বকের পরিষ্কারও করতে সাহায়ক। চন্দনের গুঁড়া রোগনশীল ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত ভাল উপায় হতে পারে, যা ত্বককে পরিমাণিত এবং উজ্জ্বল করতে সাহায়ক। এটি যেমন সুগন্ধময়, তারপর ত্বককে মিশ্রিত করে এবং ত্বকের রঙের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায়ক হয়, এক্ষেত্রে চন্দনের গুঁড়া ব্যবহার করা হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নারকেল তেল : নারকেল তেল হল একটি অমুল্য ত্বক পরিমাণ নির্মাণে সাহায্য করে। এটি ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে এবং ত্বকের অস্থিরতা ও অস্থিরতাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সম্পূর্ণ ভাবে প্রাকৃতিক এবং ত্বকের জন্য খুব ভাল হতে পারে। নারকেল তেল ত্বকের সম্পূর্ণ অংশে প্রয়োগ করা যেতে পারে, যা ত্বককে পরিমাণিত ও উজ্জ্বল করতে সাহায়ক। 
চন্দনের গুঁড়া ও নারকেল তেল ব্যবহার: চন্দনের গুঁড়া এবং নারকেল তেল একত্রিত করে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি মুখে একটি সময়ের জন্য রেখে দিতে পারেন, এবং পরে পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। এই উপায় দিয়ে ত্বকের মোলায়েম প্রদান করতে পারেন এবং ত্বকের রঙের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারেন।
এই উপায়গুলি ব্যবহার করে আপনি ত্বকের স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বলতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয় ফলাফল পাবেন। তবে, যদি আপনি কোনও ত্বক সমস্যা বা অতিসত্বর চিকিৎসা প্রয়োজন বোঝেন, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নিন।

চন্দনের গুঁড়া ও মধু মিশ্রণে ত্বক উজ্জ্বল করার উপায়

চন্দনের গুঁড়া ও মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো সম্ভব। চন্দনের গুঁড়া ত্বককে ঠাণ্ডা করে এবং রক্তচাপ নির্মূল করে যা ত্বকের পরিষ্কারও করতে সাহায্য করে। এটি যেমন সুগন্ধময়, তারপর ত্বককে মিশ্রিত করে এবং ত্বকের রঙের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায়ক হয়।

মধু হল একটি প্রাকৃতিক মধুময় পদার্থ যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক মোলায়েম এবং তারপর জীর্ণ এবং রঙের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। মধু হল ত্বকের সম্পূর্ণ অংশে প্রয়োগ করা যেতে পারে, এবং এটি ত্বককে হালকা করে এবং স্মুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

চন্দনের গুঁড়া ও মধু মিশ্রণ ব্যবহার করার পদক্ষেপসমূহ:

  1. মিশ্রণ তৈরি করুন: একটি সমান অংশে চন্দনের গুঁড়া ও মধু মিশ্রণ তৈরি করুন।

  2. মুখে লাগান: এই মিশ্রণটি মুখে অথবা আরোগ্রোনে লাগান। এটি প্রাকৃতিক ভাবে রঙের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

  3. ১৫-২০ মিনিট রাখুন: মিশ্রণটি মুখে রাখুন ১৫-২০ মিনিট পর্যন্ত।

  4. পানি দিয়ে ধুয়ে নিন: মুখের মিশ্রণটি পরিষ্কার করতে পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন।

  5. প্রতিদিন ব্যবহার করুন: এই মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহার করা উচিত ।

লাল চন্দনের গুঁড়া মুখে দিলে কি হয়

লাল চন্দন বা রক্ত চন্দনের গুঁড়া ব্যবহার করা ত্বকের যত্ন নিয়ে হতে হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা বিভিন্ন ত্বক সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন ত্বকের সমস্যার মধ্যে পুঁড়ে, এসিডিটি, পিগমেন্টেশন এবং ধূর্ততার জন্য। তবে, এটি মুখে ব্যবহারের জন্য কিছু সতর্কতা প্রয়োজন:

প্রথমত, মুখে রক্ত চন্দন লাগানোর আগে নিশ্চিত হতে হবে যে এটি পরিষ্কার এবং শুকনো অবস্থায় আছে। প্রাকৃতিক অবস্থায় তার রঙ লাল এবং গন্ধ প্রাকৃতিক থাকবে।

দ্বিতীয়ত, মুখে ব্যবহারের পর তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুখে গুঁড়া অথবা পেষ্ট অবস্থায় রক্ত চন্দন রেখে দিলে প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে, যেমন চিমটা অথবা ফাঁকা হতে পারে।

তৃতীয়ত, রক্ত চন্দনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর পরামর্শ মোতাবেক অতিরিক্ত ব্যবহার এবং পুরো মুখে প্রযুক্তি করা উচিত নয়। এটি মুখের সাথে সংঘর্ষ করতে পারে এবং কিছু লোকের জন্য তা স্থায়ী চিমটা প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

চন্দন গুঁড়ার  উপকারিতা

রক্ত চন্দন গুঁড়ার ব্যবহারের কিছু প্রাকৃতিক উপকারিতা রয়েছে যা বিভিন্ন ত্বক সমস্যার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলঃ

ত্বকের পরিষ্কারতা ও উজ্জ্বলতা: রক্ত চন্দন গুঁড়া ত্বকের মুখস্থ অংশে ব্যবহার করা হলে তা ত্বককে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করতে পারে।

ত্বকের অতিরিক্ত ত্বকক্ষতি থেকে রক্ষা: এটি ত্বকের অতিরিক্ত ত্বকক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে এবং ত্বকের মধ্যে রঙ এবং রঙের পরিষ্কারতা বৃদ্ধি দেওয়ার মধ্যে গুঁড়া হতে পারে।

ত্বকের শীতলতা ও শান্তিপূর্ণতা: রক্ত চন্দন গুঁড়া ত্বকের জন্য শীতলতা ও শান্তিপূর্ণতা প্রদান করতে পারে। এটি ত্বকের জ্বালানি এবং অন্যান্য অসুবিধার মধ্যে সাহায্য করতে পারে।

ত্বকের সংক্রমণের প্রতিরোধ: রক্ত চন্দন গুঁড়া ত্বকের ব্যবহারের পর তা ত্বকের সংক্রমণের প্রতিরোধ বৃদ্ধি দেওয়ার মধ্যে সাহায্য করতে পারে।

ত্বকের পুনরুদ্ধার এবং রক্তসঞ্চালনের উন্নতি: রক্ত চন্দন গুঁড়া ত্বকের মোক্ষের পুনরুদ্ধার এবং রক্তসঞ্চালনের উন্নতির জন্য সাহায্য করতে পারে।

চন্দন সাবান ব্যবহারের নিয়ম

আপনারা যদি ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে চান, তাহলে চন্দন সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এই সাবান ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক আরও ফর্সা হয়ে উঠবে। অনেকেই চন্দন সাবানের দাম জানতে চান এবং অনেকেই জানেন না চন্দন সাবানের দাম কত হতে পারে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চন্দন সাবানের দাম বিভিন্ন রকমের হয়। তবে সাধারণত আপনি বাজারে যে দামটি বেশি দেখতে পাবেন তা হলো বারমিজ চন্দন সাবানের। বড়টি ২৫০ টাকা এবং ছোট ১২৫ গ্রাম ২০০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের দামের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চন্দন সাবান আপনি বাজারে পেয়ে যাবেন।


প্রথমে ত্বক ভিজিয়ে নিনঃ চন্দন সাবান ব্যবহার করার আগে আপনার ত্বক ভালোভাবে ভিজিয়ে নিন। এটি সাবানকে ভালোভাবে ত্বকে প্রয়োগ করতে সাহায্য করবে।

সাবান প্রয়োগ করুনঃ চন্দন সাবানটি হাতে নিয়ে ত্বকে ধীরে ধীরে ঘষে নিন। মৃদু হাতের মাধ্যমে ত্বকে সাবানটি লাগান। মুখে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে সাবান প্রয়োগ করতে পারেন।

মালিশ করুনঃ সাবান লাগানোর পর ত্বকে হালকা মালিশ করুন। এটি ত্বকের ময়লা ও তেলের দূষণ দূর করতে সাহায্য করবে এবং ত্বককে পরিষ্কার ও সতেজ করে তুলবে।

প্রতিদিন ব্যবহার করুনঃআপনার ত্বকের যত্নে চন্দন সাবান প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও সুস্থ থাকবে।

লেখকের শেষকথা

চন্দন গুঁড়া একটি ঔষধি গুণাবলী সম্পন্ন উপাদান যা প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে সঠিক ফলাফল পাওয়ার জন্য চন্দন গুঁড়া ব্যবহারের নিয়ম সঠিকভাবে জানা দরকার। এটি আপনার ত্বকের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি অন্যান্য অনেক সমস্যারও সমাধান করতে সক্ষম।

চন্দন গুঁড়ার সঠিক ব্যবহার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, পিগমেন্টেশন কমানো এবং ত্বককে সতেজ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত এবং সঠিক পদ্ধতিতে চন্দন গুঁড়া ব্যবহারে ত্বক আরও সুন্দর ও মসৃণ হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url