ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়

আপনি কি ব্রণ ও ব্রণের দাগ  নিয়ে চিন্তিত? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই লিখা হয়েছে। আপনি এখানে সহজে ব্রণের দাগ দূর করার নিয়ম গুলো খুব সহজেই জানতে পারবেন।এই আর্টিকেলে, আমরা ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করার কার্যকরী উপায়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

ত্বকের এই সমস্যাগুলো দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যা সহজেই বাড়িতে বসে প্রয়োগ করা যায়। আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ করতে সাহায্য করবে। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার ১০টি ঘরোয়া উপায়

                  লেবুর রস দিয়ে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

                  লেবুর রস ব্রণের দাগ দূর করতে খুবই কার্যকর। এতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি ত্বকের দাগ কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রস ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স রক্ষা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। নিচে লেবুর রস দিয়ে ব্রণের দাগ দূর করার কিছু প্রক্রিয়া দেওয়া হলো:

                  • লেবুর রস ও মধুঃলেবুর রস এবং মধুর মিশ্রণ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে, আর মধুতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে সংক্রমণমুক্ত রাখে। এই মিশ্রণ তৈরি করতে একটি পাত্রে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ব্রণের দাগের উপর প্রয়োগ করুন এবং ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যাবে।
                  • সরাসরি লেবুর রস প্রয়োগঃলেবুর রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। লেবুর রস সরাসরি প্রয়োগ করতে একটি তাজা লেবু কেটে এর রস বের করুন। তুলার বলটি লেবুর রসে ডুবিয়ে নিন এবং ব্রণের দাগের উপর প্রয়োগ করুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে। তবে, লেবুর রস ব্যবহার করার পর ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
                  • লেবুর রস এবং গোলাপজলঃলেবুর রস এবং গোলাপজল মিশ্রণ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে, আর গোলাপজল ত্বককে শান্ত ও ময়েশ্চারাইজ রাখে। এই মিশ্রণ তৈরি করতে একটি পাত্রে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। তুলার বলটি মিশ্রণে ডুবিয়ে ব্রণের দাগের উপর প্রয়োগ করুন। ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও সজীব হবে।
                  • লেবুর রস এবং দইঃলেবুর রস এবং দই মিশ্রণ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। লেবুর রসের সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে এবং দই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ ও শান্ত রাখে। এই মিশ্রণ তৈরি করতে একটি পাত্রে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ২ চা চামচ দই মিশিয়ে নিন। একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন এবং ব্রণের দাগের উপর প্রয়োগ করুন। ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান হবে।
                  তবে, লেবুর রস ব্যবহারের পর ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা এবং সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ও সতর্কতার সাথে ব্যবহারে, লেবুর রস ত্বকের দাগ কমাতে এবং ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে।

                  তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

                  তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ মোকাবেলার একটি কার্যকর উপায় হল চা গাছের তেল ব্যবহার করা। চা গাছের তেলে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। জোজোবা বা নারকেল তেলের মতো ক্যারিয়ার তেলের সাথে চা গাছের তেলের কয়েক ফোঁটা পাতলা করুন এবং এটি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন।

                  তৈলাক্ত ত্বকের আরেকটি দুর্দান্ত প্রতিকার হল আপেল সিডার ভিনেগার। আপেল সাইডার ভিনেগারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে, যা ত্বকের পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং তৈলাক্ততা কমাতে সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনেগার এবং পানির সমান অংশ মিশিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর টোনার হিসেবে ব্যবহার করুন।

                  আরো পড়ু্নঃচন্দনের গুঁড়া দিয়ে ত্বক ফর্সা করার ১০ টি উপায় জেনে নিন

                  তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা জেল আরেকটি চমৎকার বিকল্প। অ্যালোভেরার প্রশান্তিদায়ক এবং নিরাময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণ ব্রেকআউটের সাথে সম্পর্কিত প্রদাহ এবং লালভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। আপনার ত্বকে অ্যালোভেরা জেলের একটি পাতলা স্তর প্রয়োগ করুন এবং সেরা ফলাফলের জন্য এটি সারারাত রেখে দিন।

                  মধু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আরেকটি চমৎকার প্রতিকার কারণ এতে প্রদাহ বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মুখের মাস্ক হিসাবে আপনার মুখে কাঁচা মধু লাগান এবং গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। মধু ব্রণ ব্রেকআউট কমাতে এবং সময়ের সাথে সাথে ব্রণের দাগ ম্লান করতে সাহায্য করতে পারে।

                  তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখা, উপযুক্ত স্কিনকেয়ার পণ্য ব্যবহার এবং প্রাকৃতিক উপাদান যেমন টি ট্রি অয়েল বা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পানি পান করাও গুরুত্বপূর্ণ।

                  বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

                  ব্রণের জন্য একটি সহজ এবং কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হল বরফ ব্যবহার করা। নিয়মিত বরফ ব্যবহার করলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং ত্বক তাজা থাকে, যা ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমাতে সাহায্য করে।

                  বরফ ব্রণের সাথে যুক্ত প্রদাহ, লালভাব এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি প্রভাবিত এলাকায় রক্তনালীকে সংকুচিত করে কাজ করে, যা পিম্পলের আকার এবং চেহারা কমাতে সাহায্য করতে পারে। উপরন্তু, বরফ ত্বককে প্রশমিত করতে সাহায্য করতে পারে এবং ব্রণের সাথে যুক্ত যেকোনো ব্যথা বা অস্বস্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

                  ব্রণ চিকিৎসার জন্য বরফ ব্যবহার করতে, প্রথমে একটি মৃদু ক্লিনজার দিয়ে আপনার মুখ পরিষ্কার করুন যাতে ময়লা, তেল এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারিত হয়। এরপর, একটি পরিষ্কার কাপড় বা কাগজের তোয়ালে ব্যবহার করে বরফের টুকরোগুলো মুড়িয়ে নিন। আক্রান্ত স্থানে বরফের প্যাকটি ১-২ মিনিট আলতোভাবে চাপুন, এবং সতর্ক থাকুন যে এটি ত্বকের ক্ষতি করতে পারে তাই বেশি সময় ধরে করবেন না।

                  সক্রিয় ব্রণের চিকিৎসার জন্য বরফ ব্যবহার করার পাশাপাশি, এটি ব্রণের দাগ কমাতেও সহায়ক হতে পারে। বরফ ত্বককে আঁটসাঁট করতে, ছিদ্রের চেহারা কমাতে এবং সামগ্রিক ত্বকের গঠন উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, যা সময়ের সাথে সাথে ব্রণের দাগের চেহারা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

                  মধু এবং দারুচিনির মিশ্রণ ব্রণ নিরাময়ে কার্যকর

                  মধু এবং দারুচিনির মিশ্রণ ব্রণ নিরাময়ে কার্যকর হতে পারে। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যা ত্বককে শীতল এবং মসৃণ রাখে। দারুচিনি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ করে, যা ব্রণের প্রদাহ কমাতে সহায়ক।

                  ব্যবহার করার পদ্ধতিঃ

                  • মিশ্রণ প্রস্তুত করুন: ১ চা চামচ মধু এবং ১/২ চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
                  • প্রয়োগ করুন: পরিষ্কার ত্বকে পেস্টটি ব্রণের উপর লাগান।
                  • অপেক্ষা করুন: ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং তারপর গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

                  এই পদ্ধতি সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে ব্রণের লালভাব কমাতে ও ত্বক পরিষ্কার রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে, যেকোনো নতুন স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট বা উপাদান ব্যবহারের আগে এলার্জি টেস্ট করে নেওয়া ভালো।

                  ১ দিনে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

                  ব্রণের দাগ একদিনে সম্পূর্ণভাবে দূর করা কঠিন হতে পারে, তবে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা ত্বকের চেহারা উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। নিচে দেওয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে ব্রণের দাগের দৃশ্যমানতা কমানো যেতে পারেঃ

                  • লেবুর রস ব্যবহার করুনঃএকটি তুলো প্যাডে কিছু লেবুর রস নিয়ে দাগযুক্ত স্থানে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দিনে একবার ব্যবহার করুন লেবুর রস ত্বককে সূর্যের প্রতি সংবেদনশীল করতে পারে, তাই ব্যবহার করার পর সানস্ক্রীন ব্যবহার করুন।
                  • টি ট্রি অয়েল প্রয়োগ করুনঃটি ট্রি অয়েল ব্রণ এবং দাগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে কারণ এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি তুলো প্যাডে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নিয়ে দাগযুক্ত স্থানে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে একবার ব্যবহার করুন।
                  • অ্যালো ভেরা জেল ব্যবহার করুনঃঅ্যালো ভেরা ত্বককে শান্ত করতে এবং পুনর্জীবিত করতে সহায়তা করে।তাজা অ্যালো ভেরা পাতা থেকে জেল বের করে দাগযুক্ত স্থানে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করুন।
                  • ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুনঃএকটি মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল, ময়লা, এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করতে সাহায্য করবে।
                  এই পদক্ষেপগুলি একদিনে দাগ পুরোপুরি মুছে ফেলতে না পারলেও, ত্বকের রঙের পার্থক্য কমাতে সহায়ক হতে পারে।

                  ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়

                  ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার জন্য একটি কার্যকর স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ময়লা অপসারণে সহায়ক। ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

                  • নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করাঃদিনে দুইবার একটি মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করে মুখ ধোওয়া। এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল, ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া অপসারণ করবে।পিসি ক্লিনজার ব্যবহার করুন যা ত্বককে খুব বেশি শুষ্ক না করে।
                  আরো পড়ু্নঃছাদে বাগান করার সহজ পদ্ধতি

                  • অ্যান্টি-অ্যাকনি প্রোডাক্ট ব্যবহার করাঃসালিসিলিক অ্যাসিড, বেনজয়েল পেরক্সাইড, বা অ্যালফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHA) যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন যা ব্রণ কমাতে সহায়ক।প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন বুঝে নেওয়া উচিত।
                  • ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করাঃএকটি তেল-মুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে এবং ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করবে।ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরও ত্বককে খুব বেশি তেলযুক্ত মনে না হওয়া উচিত।
                  এই পদক্ষেপগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে ত্বক পরিষ্কার ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে।

                  ব্রণের কালো দাগ দূর করার ক্রিম

                  ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য কিছু কার্যকর ক্রিম রয়েছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে। এখানে কিছু জনপ্রিয় ক্রিমের উদাহরণ:

                  • হাইড্রোকুইনোন ক্রিম: এই ক্রিম ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। এটি সাধারণত ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।

                  • রেটিনয়েড ক্রিম: রেটিনয়েড ক্রিম যেমন রেটিন-এ ত্বকের নতুন কোষের গঠন ত্বরান্বিত করে এবং দাগের রঙ কমাতে সাহায্য করে।

                  • ভিটামিন সি ক্রিম: ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং কালো দাগ হালকা করতে সহায়ক। এটি ত্বকের রঙে সমতা আনার জন্য কার্যকর।

                  • নিকোটিনামাইড ক্রিম: নিকোটিনামাইড (ভিটামিন বি৩) ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

                  • আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (AHA) ক্রিম: AHA ত্বকের মৃত কোষগুলি অপসারণ করে এবং নতুন ত্বক গঠনে সহায়ক, যা দাগের দৃশ্যমানতা কমাতে সাহায্য করে।

                  এছাড়াও, ব্রণের কালো দাগের জন্য ক্রিম ব্যবহার করার সময় ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্রিম নির্বাচন করা এবং ব্যবহারের পূর্বে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

                  ব্রণের দাগ দূর করার ঔষধের নাম

                  ব্রণের দাগ দূর করার ঔষধগুলি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং দাগ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর। এসব ঔষধ ত্বকের মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে এবং নতুন ত্বক কোষ গঠনে সহায়তা করে।ব্রণের দাগ দূর করার জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য ঔষধের নাম:

                  • হাইড্রোকুইনোন (Hydroquinone): কালো দাগ হালকা করতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ২-৪% কনসেন্ট্রেশন থাকে।

                  • ট্রেটিনয়েন (Tretinoin): একটি রেটিনয়েড যা ত্বকের নতুন কোষ উৎপাদন ত্বরান্বিত করে এবং দাগের দৃশ্যমানতা কমায়।

                  • অ্যাডাপালিন (Adapalene): একটি রেটিনয়েড যা ব্রণ কমানোর পাশাপাশি দাগের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

                  • নিকোটিনামাইড (Niacinamide): প্রদাহ কমায় এবং দাগ হালকা করতে সহায়ক।

                  • ভিটামিন সি (Vitamin C): ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।

                  • গ্লাইকোলিক অ্যাসিড (Glycolic Acid): একটি আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (AHA) যা মৃত ত্বক কোষ অপসারণে সহায়ক।

                  • সালিসিলিক অ্যাসিড (Salicylic Acid): একটি বিটা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (BHA) যা ত্বকের তেল কমাতে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

                  • কোঝিক অ্যাসিড (Kojic Acid): মেলানিন উৎপাদন কমায় এবং দাগ হালকা করতে সহায়ক।

                  এই ঔষধগুলি ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন ও অবস্থার ভিত্তিতে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

                  মেয়েদের ব্রণের দাগ কমানোর ক্রিম

                  মেয়েদের ব্রণের দাগ কমানোর জন্য কিছু জনপ্রিয় এবং কার্যকর ক্রিমের নাম:

                  • হাইড্রোকুইনোন (Hydroquinone) ক্রিম: কালো দাগ হালকা করতে সহায়ক। সাধারণত ২-৪% কনসেন্ট্রেশন ব্যবহার করা হয়।

                  • রেটিনয়েড (Retinoid) ক্রিম: যেমন ট্রেটিনয়েন (Tretinoin) বা অ্যাডাপালিন (Adapalene)। এগুলি ত্বকের কোষ পুনর্নিমাণ ত্বরান্বিত করে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

                  • ভিটামিন সি (Vitamin C) ক্রিম: যেমন অ্যাসকরবিক অ্যাসিড (Ascorbic Acid) ক্রিম। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং দাগ হালকা করতে সহায়ক।

                  • নিকোটিনামাইড (Niacinamide) ক্রিম: ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং দাগ হালকা করতে সহায়ক।

                  • আলফা হাইড্রোক্সি অ্যাসিড (AHA) ক্রিম: যেমন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড (Glycolic Acid)। এটি মৃত ত্বক কোষ অপসারণ করে এবং দাগের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে।

                  লেখকের মন্তব্য

                  প্রিয় পাঠকবৃন্দ, আজকের আর্টিকেলে আমরা মুখের ব্রণ ও দাগ দূর করার সহজ উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি এবং অল্প সময়ে কালো দাগ কমানোর পদ্ধতি শেয়ার করেছি।

                  আপনি যদি এই ধরনের আরও মূল্যবান তথ্য পেতে চান, তবে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনাদের সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শেয়ার করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের সাইটটি ফলো করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।

                  এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

                  পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
                  এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
                  মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

                  মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

                  comment url