মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম - মেকআপ বক্সের মূল্য জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম - মেকআপ বক্সের মূল্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এখানে আপনি মেকআপের প্রয়োজনীয় সকল উপকরণ এবং মেকআপের নানা ধরনের টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবেন। 

এছাড়াও, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে কীভাবে ন্যাচারাল মেকআপ করতে পারেন, সেই নিয়মগুলোও জানতে পারবেন। তাই আর সময় না নিয়ে, আসুন মেকআপ সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে আর্টিকেলটি পড়া শুরু করা যাক।

পোষ্ট সূচীপত্রঃ মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম - মেকআপ বক্সের মূল্য জেনে নিন 

  • মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম
  • মেকআপ বক্স এর দাম
  • ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম
  • নতুন বউ এর মেকআপ বক্স
  • ন্যাচারাল মেকআপ করার নিয়ম
  • বাচ্চদের মেকআপ বক্স
  • মেকআপ করতে কি কি লাগে
  • লেখকের মন্তব্যঃ মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম-মেকাপ বক্স এর মূল্য

মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম

মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম যদি জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। মেকআপে আগ্রহী মহিলাদের জন্য সুন্দর এবং নিখুঁত লুক তৈরি করা একটি শিল্প। বিয়ে, পার্টি, বা যেকোনো অনুষ্ঠানে মেকআপের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে, সঠিক মেকআপ আইটেম বেছে না নিলে আপনার লুকটি মনমতো না হতে পারে। আজকের এই নিবন্ধে আমরা মেকআপের প্রয়োজনীয় আইটেম এবং তাদের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ময়েশ্চারাইজারঃ মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজার অপরিহার্য, যা মেকআপের আগে ত্বককে প্রস্তুত করে। এটি মেকআপকে দীর্ঘস্থায়ী করে এবং শুষ্কতা রোধ করে। গরমের দিনে সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার অপরিহার্য, যা ত্বককে সুরক্ষা দেয়। কোয়ালিটি অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিনের দাম ৫০ টাকা থেকে ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

প্রাইমারঃ মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী ও সুন্দরভাবে বসানোর জন্য প্রাইমার একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি ত্বককে মসৃণ করে এবং মেকআপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। প্রাইমারের দাম সাধারণত ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী সঠিক প্রাইমার বেছে নেওয়া উচিত। সঠিক প্রাইমার ব্যবহার করলে আপনার মেকআপ অনেক দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঠিক থাকবে।

কন্সিলারঃ মুখের অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ যেমন ডার্ক সার্কেল, ব্রণের দাগ, এবং চোখের চারপাশের কালো দাগ ঢাকতে কনসিলার অত্যন্ত কার্যকরী। এটি ত্বককে সমান ও মসৃণ দেখাতে সাহায্য করে, যা মেকআপকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলে। কনসিলারের দাম ৭০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা ব্র্যান্ড ও মানের ওপর নির্ভর করে। সঠিক কনসিলার ব্যবহারে আপনার মেকআপ আরও নিখুঁত এবং দীর্ঘস্থায়ী হবে।

ফাউন্ডেশনঃ ফাউন্ডেশন মুখের ত্বককে উজ্জ্বল ও সমানভাবে মসৃণ করতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ডার্ক স্কিনটোনকে হালকা করার জন্য এটি অনেক জনপ্রিয়। ত্বকের শেড অনুযায়ী বিভিন্ন শেডের ফাউন্ডেশন পাওয়া যায়, যা মেকআপকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলে। ফাউন্ডেশনের দাম ১০০ টাকা থেকে ১০-১৫ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে, যা ব্র্যান্ড ও মানের ওপর নির্ভর করে। সঠিক ফাউন্ডেশন বেছে নিলে মেকআপ আরও দীর্ঘস্থায়ী এবং প্রাকৃতিক দেখাবে।

ফেস সিরামঃ ফেস সিরাম ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে, যা ত্বককে হেলদি রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহারে ত্বক আরও উজ্জ্বল ও মসৃণ দেখায়। বিভিন্ন মান ও ব্র্যান্ডের ফেস সিরাম বাজারে পাওয়া যায়, যার দাম ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫-১০ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে। সঠিক ফেস সিরাম ত্বকের যত্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কমপ্যাক্ট পাউডারঃ কমপ্যাক্ট পাউডার ফাউন্ডেশন এবং কন্সিলারকে সুন্দরভাবে সেট করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি মুখের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে, ফলে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কমপ্যাক্ট পাউডারের দাম ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ত্বকের জন্য মানানসই পাউডার নির্বাচন করাটা মেকআপের ফিনিশিংয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হাইলাইটারঃ হাইলাইটার মেকআপ করা স্কিনকে গ্লোয়িং এবং উজ্জ্বল দেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি চিক-বোন, নাক, কপাল, এবং আইভ্রু এর আশেপাশে এপ্লাই করলে মুখের আকর্ষণ বাড়ে এবং মেকআপ আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। হাইলাইটারের দাম ৫০ টাকা থেকে ৯/১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মানের ওপর নির্ভর করে। সঠিকভাবে হাইলাইটার ব্যবহার করলে আপনার মুখে একটি প্রাকৃতিক গ্লো আসবে।

আরো পড়ুনঃ মিল্ক শেক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া - মিল্ক শেক খেলে কি সত্যি মোটা হওয়া যায় 

ব্লাশঃ ব্লাশঅন ব্যবহার করলে গাল গোলাপি ও প্রাণবন্ত দেখায়, যা মুখের সৌন্দর্য বাড়ায় এবং মেকআপকে আরও ন্যাচারাল করে তোলে। বাজারে বিভিন্ন শেডের ব্লাশ পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন স্কিন টোনের সাথে মানানসই। ব্লাশঅন সাধারণত গালের চিকবোনে ব্যবহার করা হয়, যা মুখে একটি সতেজ ভাব এনে দেয়। দাম ৫০/১০০ টাকা থেকে ৫/৬ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা ব্র্যান্ড এবং মানের ওপর নির্ভর করে। সঠিক শেডের ব্লাশ ব্যবহার করলে মেকআপ আরও আকর্ষণীয় দেখায়।

সেটিং স্প্রেঃ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করলে মেকআপ অনেকটা সময় স্থায়ী হয় এবং মেকআপটি পারফেক্ট দেখতে লাগে। এটি একটি পানির মতো স্প্রে যা মুখে এপ্লাই করলে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ তাজা থাকে এবং তেলতেলে ভাব কমায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেটিং স্প্রে বাজারে পাওয়া যায়, যা ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩/৪ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। মেকআপের শেষে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করলে মেকআপ আরও প্রফেশনাল এবং সুন্দর দেখায়।

আইভ্রু কিটঃ আইভ্রুকে ঘন এবং আকর্ষণীয় করতে আইভ্রু কিট ব্যবহার করা হয়, যা বিভিন্ন শেডে পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে খুব সহজে আইভ্রুকে সুন্দর শেপ দিয়ে মুখের সৌন্দর্য বাড়ানো যায়। বাজারে ৫০/১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আইভ্রু কিট পাওয়া যায়। এটি মেকআপের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা আপনার লুককে আরও প্রফেশনাল করে তোলে।

আইলাইনারঃ আইলাইনার চোখের মেকআপকে আকর্ষণীয় করে তোলে এবং চোখের পাতায় ব্যবহৃত হয়। কালো রঙের আইলাইনার সবচেয়ে জনপ্রিয়, তবে বিভিন্ন রঙের আইলাইনারও পাওয়া যায়। সরু, উইং, ক্যাটআই সহ বিভিন্ন ডিজাইনের আইলাইনার করা যায়, যা লিকুইড বা পেন্সিল ফর্মে আসে। দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২/৩ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও কোয়ালিটির আইলাইনার পাওয়া যায়।

কাজলঃ কাজল চোখের নিচের পাতায় ব্যবহৃত হয় এবং এটি চোখের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। বর্তমানে, কাজল বিভিন্ন ধরনের যেমন ওয়াটারপ্রুফ ও স্মাচপ্রুফ উপলব্ধ। বাজারে বিভিন্ন রঙের কাজল পাওয়া যায়, যা আপনার চোখের আকর্ষণীয়তা বহুগুণ বাড়ায়। দাম ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, ব্র্যান্ড এবং কোয়ালিটি অনুযায়ী। 

মাস্কারাঃ চোখের পাপড়ি বা ল্যাশকে ঘন এবং আকর্ষণীয় করার জন্য মাস্কারা ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষত কম ঘনত্বের পাপড়ির জন্য আদর্শ, এবং বর্তমানে অনেক ওয়াটারপ্রুফ মাস্কারা পাওয়া যায়। মাস্কারা আপনার চোখের মেকআপকে একটি ড্রামাটিক লুক দেয়, যা চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। দাম ৫০ বা ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪,০০০ বা ৫,০০০ টাকাও হতে পারে।

লিপস্টিকঃ মেকআপের সময় ঠোঁটের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে লিপস্টিক অপরিহার্য। বিভিন্ন রঙের ও শেডের লিপস্টিকের মধ্যে ড্রাই, ম্যাট, শিমার এবং লিকুইড লিপস্টিক অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে, ওয়াটারপ্রুফ লিপস্টিকও জনপ্রিয়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লিপস্টিকের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

লিপলাইনারঃ ঠোঁটের গঠন হাইলাইট করতে এবং আকর্ষণীয় করতে লিপলাইনার ব্যবহৃত হয়। এটি ঠোঁটের সীমানায় প্রয়োগ করলে ঠোঁটের আকৃতি সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। অনেকেই ঠোঁটের শেপ ঠিক করতে, ছোট বা বড় করতে লিপলাইনার ব্যবহার করেন। লিপলাইনারের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩,০০০-৪,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

মেকআপ রিমুভারঃ বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির মেকআপ রিমুভার পাওয়া যায়, যা সাধারণত তরল আকারে থাকে। এই তরলটি তুলা বা নরম প্যাডে নিয়ে মুখে ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ মেকআপ উঠে যায় এবং স্কিন ময়েশ্চারাইজ হয়। মেকআপ রিমুভারের দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩,০০০-৪,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

প্রিয় পাঠকবৃন্দ, উপরের আলোচনার মাধ্যমে মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম সম্পর্কে একটি সুন্দর ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম যাতে করে আপনাদের আর কোথাও মেকআপ আইটেমের নাম খুজতে যেতে না হয়। 

মেকআপ বক্স এর দাম

মেকআপ বক্স এর দাম জানতে মেয়েরা সবসময় খুবই আগ্রহী।আমি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সর্বশেষ দাম সম্পর্কে ধারণা দিব। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
মেকআপ বক্স এর নাম মূল্য তালিকা
কসমেটিকস স্টোরেজ বক্স ১৬৫০ টাকা
৫ ড্রয়ার কসমেটিকস বক্স অরগানাইজার ১৬০০ টাকা
ROLL-N -GO কসমেটিকস বক্স ৭৫০ টাকা
Creative Travel Pockets Portable কসমেটিকস বক্স ৪৬৮ টাকা
Acrylic কসমেটিকস স্টিচ ১২৩০ টাকা
8 sections কসমেটিকস অরগানাইজার ৫৫০ টাকা
কসমেটিকস অরগানাইজার অয়েল ফ্রী কিট ২২০০ টাকা
color sprint mekup box ৮০০ টাকা
কসমেটিকস অরগানাইজার ১২৯০ টাকা
কসমেটিকস স্টোরেজ বক্স-6 drawer ১৫৯৯ টাকা
কসমেটিকস স্টোরেজ বক্স ১৬৫০ টাকা
মেকআপ ব্রাশ হোল্ডার ১১০০ টাকা
মেকআপ বক্স ২১৫০ টাকা
স্পেশাল ট্রাভেল কিট ব্যাগ ৭৫০ টাকা
Acrylic কসমেটিকস অরগানাইজার ১০৫০ টাক

ঘরে বসে মেকআপ করার নিয়ম

আমরা মেয়েরা সবাই চাই সবার সামনে যেন আমাদের দেখতে সুন্দর লাগে। মেকআপ হল এক সহজ মাধ্যম যা আমাদের এই সুন্দর উপস্থাপনা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। তবে সঠিক মেকআপ পদ্ধতি জানা না থাকলে ঘরে বসে মেকআপ করার ভয় থাকতে পারে। এখানে দেওয়া হল ঘরে বসে মেকআপ করার সঠিক নিয়মঃ
  • আমাদের মেকআপ শুরু করার আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল ফেসওয়াশ এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য ক্রিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
  • আমাদেরকে ফেসওয়াশের পর টোনার ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে এবং রোমছিদ্র সংকুচিত করে, যা ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখে।
  • টোনার ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এটি ত্বককে আদ্র রাখে, ফলে মেকআপ ভালোভাবে বসে।
  • ফাউন্ডেশন ও কনসিলার ব্যবহার করে ব্লেন্ড করতে হবে। এটি ত্বকের অসমতল অংশ ঢেকে দেয় এবং মেকআপকে সমতল করে।
  • কম্প্যাক্ট পাউডার দিয়ে ফাউন্ডেশন ও কনসিলার সেট করতে হবে যাতে মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী হয়।
  • হাইলাইটার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং মেকআপকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
  • আইলাইনার, মাস্কারা, কাজল, আইশ্যাডো ও আইভ্রু কিটের সাহায্যে চোখের মেকআপ করতে হবে।
  • লিপবাম, লিপস্টিক, লিপলাইনার ও লিপগ্লস ব্যবহার করে ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়ায়।
  • মেকআপ শেষ হলে সেটিং স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এটি মেকআপকে দীর্ঘসময় ধরে রাখতে সাহায্য করে। তবে সতর্ক থাকুন, সেটিং স্প্রে চোখে বা মুখে যেন না লাগে।
এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে ঘরে বসেই আপনি সুন্দরভাবে মেকআপ করতে পারবেন এবং নিজেকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।

নতুন বউ এর মেকআপ বক্স

নতুন বউয়ের জন্য মেকআপ বক্স শুধু একটি প্রসাধনী পণ্য নয়, বরং এটি তার বিশেষ দিনের সৌন্দর্য এবং আত্মবিশ্বাসের অংশ। যেদিন বিয়ে হয়, সেদিন প্রতিটি বউ চান যেন তার মেকআপ নিখুঁত এবং চমৎকার হয়। এজন্য একটি ভালোমানের মেকআপ বক্স তার জন্য অপরিহার্য।
মেকআপ বক্সের নাম মূল্য তালিকা
টায়লামি ব্র্যান্ড মেকআপ বক্স ২০০০ টাকা
মিস রোজ মেকআপ বক্স ১৬০০ টাকা
বিবি সিমার মেকআপ বক্স ১৫০০ টাকা
নেকেড ৪ মেকআপ বক্স কিস টাচ কোম্পানি ১৫০০ টাকা
বিউটি গেজেট আই শ্যাড ৩ পার্ট ৭৫০ টাকা
কালার ব্রড আই শ্যাড ৪ পার্ট ৬৫

ন্যাচারাল মেকআপ করার নিয়ম

ন্যাচারাল মেকআপ বা হালকা সাজের জনপ্রিয়তা এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সবারই ইচ্ছা থাকে একটি ত্রুটিহীন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লুক পেতে। বর্তমান সময়ে সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও ন্যাচারাল মেকআপের দিকে ঝুঁকছে, যা মুখের আকৃতি আকর্ষণীয় করে তোলে এবং সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলে। ন্যাচারাল মেকআপের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ধরে রেখে সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি সুন্দর ও এলিগেন্ট লুক প্রদান করে। আসুন, এবার ন্যাচারাল মেকআপ করার নিয়মগুলো জেনে নিই।

ন্যাচারাল মেকআপ করার আগে প্রথম ধাপ হলো ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা। ফেস ওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়ার পর হাইড্রেটিং শিট মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক হবে পরিষ্কার এবং মেকআপের জন্য প্রস্তুত। শিট মাস্ক ত্বকের অতিরিক্ত গ্লো বৃদ্ধি করে এবং মেকআপ ব্লেন্ড হওয়ার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে।

আরো পড়ুনঃ হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তির ১৫টি কার্যকারী উপায়

এরপর সিরাম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে, যা ত্বককে আদ্র এবং মসৃণ রাখে। প্রাইমার, কনসিলার, এবং ফাউন্ডেশন নির্বাচন করার সময় স্কিন টোন বিবেচনায় রাখা উচিত। প্রাইমার ত্বকের মসৃণতা বাড়ায় এবং ফাউন্ডেশন ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে উন্নত করে। কনসিলার ত্বকের দাগ এবং উজ্জ্বলতার অভাব দূর করতে সহায়ক।

মেকআপের শেষ ধাপে হালকা হাইলাইটার ব্যবহার করে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয় এবং লং-লাস্টিং মেকআপ স্প্রে প্রয়োগ করে মেকআপকে দীর্ঘসময় স্থায়ী করা হয়।

পুরুষদের তুলনায় নারীদের নিজেদের প্রকাশের স্বাধীনতা অনেক বেশি, এবং প্রিয়জনদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নারীরা মেকআপের সাহায্য নেয়। সুতরাং, ন্যাচারাল মেকআপের এই সহজ অথচ কার্যকরী ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনার সৌন্দর্যকে সবার সামনে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেন।

বাচ্চদের মেকআপ বক্স

বাচ্চাদের মেকআপ বক্স এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যাতে এটি তাদের ত্বকের জন্য নিরাপদ এবং ব্যবহারিক হয়। এই বক্সে সাধারণত নরম ফেস পাউডার থাকে যা ত্বককে মাটিফাই করে এবং অতিরিক্ত শুষ্ক না হওয়ার সুবিধা দেয়। এছাড়াও, মাল্টি-কালার লিপবাম থাকে যা ঠোঁটকে নরম এবং ময়েশ্চারাইজ করে। একটি হালকা ফাউন্ডেশন বা টিন্টও থাকে যা শিশুর ত্বকের রঙের সাথে মিশে যায় এবং প্রাকৃতিক লুক প্রদান করে।

বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ধরনের মাইল্ড ফর্মুলার মাস্কারা এবং আইলাইনার থাকতে পারে, যা তাদের চোখের সংবেদনশীল ত্বকে নিরাপদ। হালকা রঙের ব্লাশ এবং নিউট্রাল আইশ্যাডো প্যালেট তাদের গাল এবং চোখে একটি সুস্থ রঙ আনে।

এই মেকআপ বক্সের দাম সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা ব্র্যান্ড ও সামগ্রীর উপর নির্ভর করে। বাচ্চাদের মেকআপ সামগ্রী ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন যাতে ত্বকে কোনো ক্ষতি না হয়। নিরাপদ ও উপযুক্ত সামগ্রী নিশ্চিত করে বাচ্চারা মেকআপের মাধ্যমে তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারে।

মেকআপ করতে কি কি লাগে

মেকআপ করতে হলে কিছু মূল উপকরণের প্রয়োজন হয় যা আপনাকে একটি সুন্দর এবং পরিষ্কার লুক দিতে সাহায্য করবে। প্রথমেই প্রয়োজন একটি ভালো ফেস ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ যা ত্বক পরিষ্কার করবে। এরপর, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখা জরুরি। এর পর ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ত্বকের অমসৃণতা ঢেকে দিন। কনসিলার ত্বকের দাগ-ছোপ ঢাকার জন্য ব্যবহৃত হয়। কম্প্যাক্ট পাউডার বা লুজ পাউডার ফাউন্ডেশন সেট করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কচু শাক খাওয়ার উপকারিতা-কচু শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা 

আইশ্যাডো, আইলাইনার, এবং মাস্কারা চোখকে সাজানোর জন্য অপরিহার্য। ব্লাশোন গালকে সুন্দর করে তুলবে এবং হাইলাইটার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াবে। ঠোঁটের জন্য লিপস্টিক বা লিপবাম প্রয়োজনীয়। সবশেষে, মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহারের মাধ্যমে মেকআপকে দীর্ঘসময় তাজা রাখতে পারেন। এসব সামগ্রী ব্যবহার করে আপনি একটি নিখুঁত মেকআপ লুক তৈরি করতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্যঃ মেয়েদের মেকআপ আইটেমের নাম-মেকাপ বক্স এর মূল্য

নারী প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হলেও, আধুনিক জীবনে নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে মেকআপ ব্যবহারের চল রয়েছে। মেকআপের নানা উপকরণ ও মেকআপ বক্সের দাম জানলে আপনার মেকআপ রুটিন হতে পারে আরও সহজ ও কার্যকরী। তবে, মেকআপ ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ত্বকে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না ঘটে।

আরো পড়ুনঃ সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় কি তা জানুন

আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আরো তথ্যবহুল ও সহায়ক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে শেয়ার করুন। নিজে সুস্থ থাকুন এবং অন্যদেরও ভালো রাখুন। আসুন, পৃথিবীকে আরও সুন্দর করি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url