2024 সালের অগ্রহায়ণ মাসের ক্যালেন্ডার
পোস্ট সূচিপত্রঃ 2024 সালের অগ্রহায়ণ মাসের ক্যালেন্ডার
- 2024 সালের অগ্রহায়ণ মাসের ক্যালেন্ডার
- অগ্রহায়ণ মাস কোন ঋতুতে পড়ে
- অগ্রহায়ণ মাসের আবহাওয়া
- অগ্রহায়ণ মাসের বিখ্যাত খাবার
- বাংলা অগ্রহায়ণন মাসের ছুটির তালিকা ১৪৩১
- অগ্রহায়ণ মাসের বিয়ের তারিখ 2024
- অগ্রহায়ণ মাসের দিবস ২০২৪
- লেখকের মন্তব্যঃ 2024 সালের অগ্রহায়ণ মাসের ক্যালেন্ডার
2024 সালের অগ্রহায়ণ মাসের ক্যালেন্ডার
আপনি কি 2024 সালের অগ্রহায়ণ মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে জানতে চান? বাংলা ক্যালেন্ডারে অগ্রহায়ণ মাস হলো বছরের অষ্টম মাস, যা হেমন্ত ঋতুর অন্যতম প্রধান মাস। এই মাসের সাথে মিশে আছে বাঙালির সংস্কৃতি, কৃষি, উৎসব এবং ঐতিহ্য। বিশেষ করে অগ্রহায়ণ মাসকে ধান কাটার এবং নবান্ন উৎসবের মাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২০২৪ সালের অগ্রহায়ণ মাসের ক্যালেন্ডার শুধুমাত্র সময় নির্দেশক নয়, এটি আমাদের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের সময়ও চিহ্নিত করে। যেমন, এই মাসে গ্রামে নতুন ধান ঘরে তোলা হয় এবং নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। এছাড়া অনেক পরিবার বিয়ে, সামাজিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানগুলোর তারিখ বাংলা ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে ঠিক করে।
তাহলে চলুন জেনে নিই 2024 সালের অগ্রহায়ণ মাসের ক্যালেন্ডার সম্পর্কে।
বাংলা তারিখ | ইংরেজী তারিখ | বার |
---|---|---|
১লা অগ্রহায়ণ | ১৬ই নভেম্বর | শনিবার |
২রা অগ্রহায়ণ | ১৭ই নভেম্বর | রবিবার |
৩রা অগ্রহায়ণ | ১৮ই নভেম্বর | সোমবার |
৪ঠা অগ্রহায়ণ | ১৯ই নভেম্বর | মঙ্গলবার |
৫ই অগ্রহায়ণ | ২০শে নভেম্বর | বুধবার |
৬ই অগ্রহায়ণ | ২১শে নভেম্বর | বৃহস্পতিবার |
৭ই অগ্রহায়ণ | ২২শে নভেম্বর | শুক্রবার |
৮ই অগ্রহায়ণ | ২৩শে নভেম্বর | শনিবার |
৯ই অগ্রহায়ণ | ২৪শে নভেম্বর | রবিবার |
১০ই অগ্রহায়ণ | ২৫শে নভেম্বর | সোমবার |
১১ই অগ্রহায়ণ | ২৬শে নভেম্বর | মঙ্গলবার |
১২ই অগ্রহায়ণ | ২৭শে নভেম্বর | বুধবার |
১৩ই অগ্রহায়ণ | ২৮শে নভেম্বর | বৃহস্পতিবার |
১৪ই অগ্রহায়ণ | ২৯শে নভেম্বর | শুক্রবার |
১৫ই অগ্রহায়ণ | ৩০শে নভেম্বর | শনিবার |
১৬ই অগ্রহায়ণ | ১ই ডিসেম্বর | রবিবার |
১৭ই অগ্রহায়ণ | ২ই ডিসেম্বর | সোমবার |
১৮ই অগ্রহায়ণ | ৩ই ডিসেম্বর | মঙ্গলবার |
১৯ই অগ্রহায়ণ | ৪ই ডিসেম্বর | বুধবার |
২০ই অগ্রহায়ণ | ৫ই ডিসেম্বর | বৃহস্পতিবার |
২১ই অগ্রহায়ণ | ৬ই ডিসেম্বর | শুক্রবার |
২২ই অগ্রহায়ণ | ৭ই ডিসেম্বর | শনিবার |
২৩ই অগ্রহায়ণ | ৮ই ডিসেম্বর | রবিবার |
২৪ই অগ্রহায়ণ | ৯ই ডিসেম্বর | সোমবার |
২৫ই অগ্রহায়ণ | ১০ই ডিসেম্বর | মঙ্গলবার |
২৬ই অগ্রহায়ণ | ১১ই ডিসেম্বর | বুধবার |
২৭ই অগ্রহায়ণ | ১২ই ডিসেম্বর | বৃহস্পতিবার |
২৮ই অগ্রহায়ণ | ১৩ই ডিসেম্বর | শুক্রবার |
২৯ই অগ্রহায়ণ | ১৪ই ডিসেম্বর | শনিবার |
৩০ই অগ্রহায়ণ | ১৫ই ডিসেম্বর | রবিবার |
অগ্রহায়ণ মাস কোন ঋতুতে পড়ে
আপনি কি কখনো ভেবেছেন অগ্রহায়ণ মাস বাংলাদেশে কোন ঋতুর সাথে সম্পর্কিত? অগ্রহায়ণ বাংলা ক্যালেন্ডারের নবম মাস, যা প্রধানত বাংলাদেশে অনুসরণ করা হয়। সাধারণত এটি নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং এই মাসটি দেশের শরৎ ঋতুর সাথে মিলে যায়।
অগ্রহায়ণ মাসে বাংলাদেশের আবহাওয়া বেশ মনোরম থাকে। তাপমাত্রা সহনশীল এবং আকাশ পরিষ্কার থাকে। গ্রীষ্মের তীব্র গরম অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে, আর বর্ষার বৃষ্টি ম্লান হয়ে গেছে, যা এই সময়টিকে বাইরে বিভিন্ন কার্যক্রম ও উৎসব উদযাপনের জন্য আদর্শ করে তোলে। গ্রামাঞ্চল সবুজ শ্যামলে আচ্ছন্ন থাকে এবং কৃষকরা শীতের জন্য ফসল তোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
অগ্রহায়ণ মাসে একটি বিশেষ উৎসব হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কার্তিক পূর্ণিমা। এই দিনে বাংলাদেশে হিন্দুরা পবিত্র নদী ও জলাশয়ে স্নান করেন এবং সূর্য দেবতাকে প্রার্থনা করেন। এটি এক মাসব্যাপী কার্তিক মাসের উপবাসের সমাপ্তি এবং বিবাহসহ অন্যান্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য শুভ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়।
অগ্রহায়ণ মাস শীতের সূচনা এবং বছরের সবচেয়ে ছোট দিন ও দীর্ঘ রাতের প্রতীক, যা শীতকালীন অয়নান্তের সাথে সম্পর্কিত। এটি এমন একটি সময় যখন মানুষ আলোর বিজয় ও নতুন জীবনের প্রতীক হিসেবে উৎসব করে। এই সময়ে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা আয়োজিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।
সর্বশেষে, অগ্রহায়ণ মাস বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে। এটি আনন্দ ও উৎসবের সময়, যা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় উদযাপনের মধ্য দিয়ে পূর্ণ হয়। যখন আমরা অগ্রহায়ণ মাসকে বিদায় জানিয়ে শীত ঋতুকে স্বাগত জানাই, আসুন এই মাসের ঐক্য ও একতার চেতনাকে আলিঙ্গন করি, যা আমাদের জীবনকে সুন্দর করে তোলে।
অগ্রহায়ণ মাসের আবহাওয়া
বাংলা ক্যালেন্ডারের অগ্রহায়ণ মাস শীত ঋতুর সময় পড়ে, সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে, বাংলাদেশের আবহাওয়া শীতল তাপমাত্রা, পরিষ্কার আকাশ এবং মনোরম বাতাস দ্বারা চিহ্নিত হয়। এখন আসুন অগ্রহায়ণ মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে জানি।
অগ্রহায়ণ বাংলাদেশে শরৎ থেকে শীতের পরিবর্তনের মাস। দিনগুলো ছোট হতে থাকে এবং রাতগুলো দীর্ঘ হয়, শীতকালীন অয়নান্তের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে। দিনের আলো কমে যাওয়ার কারণে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে, দিনের বেলায় তাপমাত্রা হালকা থেকে শীতল থাকে, আর রাতের বেলায় তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
এই সময়ে বাংলাদেশে আবহাওয়া শুষ্ক ও স্থিতিশীল থাকে। বৃষ্টিপাত খুবই কম হয়, এবং আকাশ সাধারণত পরিষ্কার থাকে, ফলে দিনের বেলায় পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া যায়। উত্তরের দিক থেকে আসা ঠাণ্ডা বাতাস আবহাওয়ার মনোরমতার সাথে যোগ করে, যা বিভিন্ন বাহ্যিক কার্যকলাপ ও উৎসব উদযাপনের জন্য এক আদর্শ সময়ে পরিণত করে।
অগ্রহায়ণের আবহাওয়া কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কারণ এটি রবি ফসলের মৌসুমের সূচনা চিহ্নিত করে। কৃষকরা এই সময় তাদের মাঠ শীতকালীন ফসল যেমন গম, সরিষা ও শাকসবজির জন্য প্রস্তুত করেন। শুষ্ক আবহাওয়া চাষ ও ফসল কাটার জন্য উপযুক্ত, যা একটি সফল কৃষি মৌসুম নিশ্চিত করে।
দৈনন্দিন জীবনে, অগ্রহায়ণের মনোরম আবহাওয়া মানুষকে বাইরে বেশি সময় কাটাতে উৎসাহিত করে। এই সময়ে মানুষ প্রকৃতির সাথে যুক্ত হতে, পার্কে হাঁটতে, পরিবার ও বন্ধুদের সাথে পিকনিক করতে এবং মৌসুমের উদযাপনকে ঘিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পছন্দ করে।
সবকিছু মিলিয়ে, অগ্রহায়ণ মাস বাংলাদেশের আবহাওয়াকে শীতল তাপমাত্রা, পরিষ্কার আকাশ ও মৃদু বাতাসের এক চমৎকার মিশ্রণ উপহার দেয়, যা দেশের আবহাওয়াকে এক শান্ত ও প্রশান্ত পরিবেশে পরিণত করে। যখন আমরা শরৎ থেকে শীতের পরিবর্তনকে আলিঙ্গন করি, আসুন আমরা এই ঋতুর সৌন্দর্য উপভোগ করি এবং অনুকূল আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে দৈনন্দিন জীবনকে আরও উপভোগ্য করে তুলি।
অগ্রহায়ণ মাসের বিখ্যাত খাবার
অগ্রহায়ণ মাস বাংলাদেশে ফসল কাটার মৌসুম হিসেবে পরিচিত। এই সময়ে ধান কাটা হয়, যা নতুন ধানের আগমনের সময় হিসেবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এর ফলে এই মাসে বিভিন্ন ধরনের খাবার এবং মিষ্টান্ন তৈরি করা হয় যা স্থানীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে অগ্রহায়ণ মাসের কিছু বিখ্যাত খাবার তুলে ধরা হলো:
নবান্ন
অগ্রহায়ণ মাসের সবচেয়ে বিখ্যাত উৎসব হলো নবান্ন। এই সময়ে নতুন চাল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। নবান্ন উৎসবে পিঠা, পায়েস, মিষ্টি, এবং অন্যান্য চালের তৈরি খাবার পরিবেশন করা হয়।
পিঠা-পুলি
নতুন ধান থেকে তৈরি চাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি তৈরি করা হয়। যেমন:
- ভাপা পিঠা: চালের গুঁড়া, গুড় এবং নারকেল দিয়ে তৈরি করা হয়।
- চিতই পিঠা: এটি চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হয় এবং খেজুরের রসের সাথে পরিবেশন করা হয়।
- পাটিসাপটা: দুধ, গুড়, নারকেল দিয়ে ভরে পাতলা পিঠা বানানো হয়।
পায়েস
নতুন চাল ও খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস তৈরি করা অগ্রহায়ণ মাসে খুব জনপ্রিয়। এটি মিষ্টি খাবার হিসেবে অনেক উৎসব ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়।
খিচুড়ি
নতুন চাল দিয়ে তৈরি খিচুড়ি অগ্রহায়ণ মাসের আরেকটি জনপ্রিয় খাবার। শীতের সময় মাংস বা মাছের সাথে খিচুড়ি অনেক পছন্দের খাবার হিসেবে গণ্য হয়।
মোয়া
খই বা চালভাজা দিয়ে মোয়া তৈরি করা হয়, যা নবান্নের সময়ে অনেক খাওয়া হয়। খইয়ের সাথে গুড় মিশিয়ে মোয়া তৈরি করা হয়, যা মিষ্টি এবং পুষ্টিকর।
খেজুরের রস ও গুড়
অগ্রহায়ণ মাসের আরেকটি বিখ্যাত উপাদান হলো খেজুরের রস ও খেজুরের গুড়। এই সময় খেজুরের গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয় এবং তা দিয়ে বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়। বিশেষ করে, পিঠা ও পায়েসে খেজুরের গুড় ব্যবহৃত হয়।
গুড় ও চিড়া
নতুন চালের চিড়া এবং খেজুরের গুড় অগ্রহায়ণের সকালে একটি প্রচলিত নাশতা। এটি স্বাদে মিষ্টি এবং শীতের সময় খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
অগ্রহায়ণ মাসের এসব খাবার ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে বিশেষভাবে উদযাপন করা হয়।
বাংলা অগ্রহায়ণন মাসের ছুটির তালিকা ১৪৩১
অগ্রহায়ণ মাসে ছুটির প্রত্যাশা অনেকের মনেই থাকতে পারে, বিশেষ করে যারা ছাত্র বা চাকরিজীবী। তবে অগ্রহায়ণ মাসে সরকারি ছুটির তেমন কোনো ঘোষণা না থাকায় অনেকেই হতাশ হতে পারেন। যদিও এই মাসে সরকারি ছুটি না থাকলেও, এটি বিভিন্ন উৎসব ও ফসলের সময় হওয়ায়, বিশেষ করে নবান্ন উৎসবের কারণে গ্রামীণ এলাকায় আনন্দের একটি উপলক্ষ সৃষ্টি করে।
যারা কঠোর পরিশ্রম করতে ভালোবাসেন এবং কাজকে উপভোগ করেন, তাদের জন্য অগ্রহায়ণ মাসটি বিশেষভাবে উপভোগ্য হতে পারে। নতুন ধানের মৌসুম এবং ফসল কাটার কাজে ব্যস্ততা দেখা যায়, যা মূলত কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। অন্যদিকে যারা অলসতার মধ্যে ছুটি আশা করেন, তাদের জন্য এই মাসটি ছুটিহীন একটি সময় হতে পারে।
তবে, যাই হোক, কাজের মাঝে নিজের জন্য সময় বের করে নেওয়া এবং পরিবারের সাথে সময় কাটানো সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি সরকারি ছুটি না থাকে।
অগ্রহায়ণ মাসের বিয়ের তারিখ 2024
বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে অগ্রহায়ণ মাসে বিয়ের তারিখগুলো সাধারণত শুভ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিভিন্ন জ্যোতিষী নির্দেশনার ওপর নির্ভর করে। ২০২৪ সালের অগ্রহায়ণ মাসে শুভ বিবাহের তারিখগুলো জ্যোতিষ মতে নির্ধারিত হবে। সাধারণত বিয়ের শুভ দিনগুলি 'লগ্ন' বা 'মুহূর্ত' দেখে নির্ধারণ করা হয়।
২০২৪ সালের বাংলা অগ্রহায়ণ মাসটি মোটামুটি নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত স্থায়ী হবে। নির্দিষ্ট শুভ বিবাহের তারিখের জন্য অবশ্যই স্থানীয় পণ্ডিত বা জ্যোতিষীর সাথে পরামর্শ করা উত্তম, কারণ এটি ব্যক্তিগত এবং স্থানীয় লগ্নের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
তবে, সাধারণত বাংলা ক্যালেন্ডারের অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষের দিক পর্যন্ত সময় বিয়ের জন্য শুভ লগ্ন হিসেবে ধরা হয়।
অগ্রহায়ণ মাসের দিবস ২০২৪
২০২৪ সালের অগ্রহায়ণ মাসটি বাংলা ক্যালেন্ডারের নবম মাস, যা সাধারণত মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন ও উৎসব পালিত হয়। ২০২৪ সালে অগ্রহায়ণ মাসে যে দিবসগুলি পড়বে তা নিম্নরূপ হতে পারে:
- অগ্রহায়ণ মাসের শুরু (নতুন মাস)ঃ ১৫ নভেম্বর, ২০২৪: বাংলা ১৪৩১ সালের অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিন।
- নবান্ন উৎসবঃ নবান্ন হলো ফসল কাটার উৎসব, যা অগ্রহায়ণ মাসে পালিত হয়। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় নতুন ধান কাটার পর এই উৎসবটি উদযাপন করা হয়। এটি সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সময়ে পালিত হয়।
- কর্তিক পূর্ণিমা (Kartik Purnima)ঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪: অগ্রহায়ণ মাসে পালিত এই হিন্দু ধর্মীয় উৎসবটি গঙ্গা বা অন্যান্য নদীতে স্নান এবং উপাসনা করে উদযাপিত হয়।
- বুদ্ধ পূর্ণিমাঃ ২৭ নভেম্বর, ২০২৪: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে অন্যতম পবিত্র দিন।
- বিশ্ব মানবাধিকার দিবসঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪: যদিও এটি আন্তর্জাতিক দিবস, তবু অগ্রহায়ণ মাসের মধ্যে পড়ে এবং এটি মানবাধিকার রক্ষার গুরুত্ব নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে।
- অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিনঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪: বাংলা ১৪৩১ সালের অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিন।
এই দিবসগুলো ছাড়াও, অগ্রহায়ণ মাসে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্থানীয় উৎসব পালিত হয়, যা বাঙালির জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url