শারদীয়া দূর্গা পূজার তারিখ ও সময়সূচী 2024

আপনি কি শারদীয়া দূর্গা পূজার তারিখ ও সময়সূচী 2024 সম্পর্কে জানতে চান? আশা করি এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। হিন্দু ধর্মের সবথেকে বড় উৎসব হচ্ছে দুর্গাপুজা।

এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা দুর্গা পুজা পালনের নিয়ম ও  তিথি, অষ্টমী পূজার সময়সূচী 2024, বাংলাদেশের দুর্গা পুজা সহ আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে কিন্তু আপনি জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শারদীয়া দূর্গা পূজার তারিখ ও সময়সূচী 2024

শারদীয়া দুর্গা পুজার সময়সূচী 2024

শারদীয় দুর্গা পূজা, যেটি ভারতে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসবগুলির মধ্যে একটি হিসেবে পালিত হয়। এটি এমন একটি সময় যখন পুরো রাজ্য উৎসব, প্রার্থনা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এই পূজায় দেবী দুর্গার মহিষাসুরের উপর বিজয় উদযাপিত হয়, যা আনন্দ ও খুশির প্রতীক।

শারদীয় দুর্গা পূজা ২০২৪ সালে ১৫ই অক্টোবর থেকে ১৯ই অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এই বিশাল উৎসবের প্রস্তুতি কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয়, যেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে অসাধারণ প্যান্ডেল তৈরি করে। এই প্যান্ডেলগুলোতে দেবী দুর্গা ও তার সন্তানদের প্রতিমা স্থাপন করা হয়। প্যান্ডেলগুলো আলো, ফুল এবং নান্দনিক নকশায় সজ্জিত হয়, যা ভক্তদের জন্য একটি মন্ত্রমুগ্ধকর দৃশ্য উপস্থাপন করে।

পুজা তিথি দিন বাংলা ক্যালেন্ডার তারিখ ইংরেজি ক্যালেন্ডার তারিখ
মহালয়া বুধবার ১৫ আশ্বিন, ১৪৩১ রাত ১০ঃ৪৯ সময় পর্যন্ত ০২ অক্টোবর, ২০২৪
মহা পঞ্চমী মঙ্গলবার ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ সকাল ০৭ঃ১৬ সময় পর্যন্ত ০৮ অক্টোবর, ২০২৪
মহা ষষ্ঠী বুধবার ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ সকাল ০৭ঃ৩২ সময় পর্যন্ত ০৯ অক্টোবর, ২০২৪
মহা সপ্তমী বৃহস্পতিবার ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ সকাল ০৭ঃ২৫ সময় পর্যন্ত ১০ অক্টোবর, ২০২৪
মহা অষ্টমী শুক্রবার ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ সকাল ০৬ঃ৪৮ সময় পর্যন্ত ১১ অক্টোবর, ২০২৪
মহা নবমী শনিবার ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ সকাল ০৫ঃ৫৮ সময় পর্যন্ত ১২ অক্টোবর, ২০২৪
বিজয়া দশমী রবিবার ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ সকাল ০৬ঃ০০ সময় পর্যন্ত ১৩ অক্টোবর, ২০২

দুর্গা পুজা পালনের নিয়ম ও  তিথি

দুর্গা পূজা হল ভারতের অন্যতম প্রধান ও ব্যাপকভাবে উদযাপিত উৎসব, বিশেষ করে পূর্ব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ওড়িশা রাজ্যে। এই উৎসব দেবী দুর্গাকে উৎসর্গ করা হয়, যিনি শক্তি ও নারীত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এটি একটি আনন্দমুখর সময়, যেখানে কয়েক দিনের ব্যাপক পূজা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভোজের আয়োজন হয়। এই প্রবন্ধে আমরা দুর্গা পূজার নিয়মাবলী ও তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, যা আপনাকে এই শুভ সময়টি সঠিকভাবে পালনে সাহায্য করবে।

দুর্গা পূজার তারিখসমূহ

দুর্গা পূজা সাধারণত হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে আশ্বিন মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) পালিত হয়। উৎসবটি পাঁচ দিন ধরে চলে, যা শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন থেকে শুরু করে কৃষ্ণপক্ষের দশম দিন পর্যন্ত উদযাপিত হয়। পূজার প্রধান দিনগুলো হলো মহালয়া, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এবং দশমী। প্রতিটি দিনের নিজস্ব ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে এবং ভক্তরা প্রতিটি দিনে নির্দিষ্ট রীতি ও আচার পালন করেন।

দুর্গা পূজায় পালনীয় নিয়মাবলী

দুর্গা পূজার সময় ভক্তদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়, যা দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও ঐতিহ্যগত আচার পালনের অংশ। নিচে কিছু সাধারণ নিয়ম তুলে ধরা হলো:

  1. উপবাস পালন: অনেক ভক্ত নবরাত্রির নয় দিন উপবাস পালন করেন, যেখানে শুধুমাত্র ফল, দুধ ও হালকা খাবার গ্রহণ করেন। কেউ কেউ পূজার বিশেষ দিনগুলোতে সম্পূর্ণ উপবাসও পালন করেন।

  2. পোশাক: দুর্গা পূজার সময় পুরুষ ও নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা প্রথা। নারীরা সাধারণত শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পরেন, আর পুরুষেরা ধুতি-কুর্তা বা অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করেন।

  3. প্যান্ডেল পরিদর্শন: পূজার সময় দেবী দুর্গার প্রতিমা স্থাপনের জন্য অস্থায়ী প্যান্ডেল তৈরি করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, বিভিন্ন প্যান্ডেলে গিয়ে দেবীর দর্শন করলে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি লাভ হয়।

  4. নৈবেদ্য প্রদান: ভক্তরা দেবীর উদ্দেশ্যে ফুল, ফল, মিষ্টি এবং অন্যান্য উপকরণ নিবেদন করেন। অনেকেই বিশেষ প্রার্থনা ও পূজা আচার পালন করেন এই সময়ে।

  5. বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান: দুর্গা পূজার সময় বয়োজ্যেষ্ঠদের আশীর্বাদ গ্রহণ করা ও তাদের প্রসাদ প্রদান একটি সাধারণ রীতি। এটি বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।

  6. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: দুর্গা পূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক মেলা। অনেক প্যান্ডেলে নাচ, গান ও নাটকের আয়োজন করা হয় দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার জন্য।

  7. প্রতিমা বিসর্জন: পূজার শেষ দিনে, যেটি দশমী বা বিজয়াদশমী নামে পরিচিত, দেবী দুর্গার প্রতিমা জলাশয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়। এটি দেবীর বিদায় এবং উৎসবের সমাপ্তির প্রতীক।

দুর্গা পূজা একটি বৃহৎ উৎসব, যা মানুষের মধ্যে ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটায়। পূজার নিয়মাবলী মেনে চলা এবং উৎসবে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে ভক্তরা এই শুভ সময়ের প্রকৃত অর্থ উপলব্ধি করতে পারেন।

অষ্টমী পূজার সময়সূচী 2024

অষ্টমী পূজা, যা দুর্গা অষ্টমী নামেও পরিচিত, হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা ভারতে অত্যন্ত উত্সাহ ও ভক্তির সাথে উদযাপিত হয়। এই শুভ দিনটি নবরাত্রির অষ্টম দিনে পালিত হয়, যা দেবী দুর্গার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। ভক্তরা এই দিনটি উপবাস, পূজা আর্চনা এবং প্রার্থনার মাধ্যমে দেবীর আশীর্বাদ লাভের জন্য উদযাপন করেন।

আরো  পড়ুনঃ আরবি কোন মাসে বিয়ে করা উত্তম - আরবি কোন মাসে বিয়ে করা নিষেধ 

অষ্টমী পূজার গুরুত্ব

অষ্টমী পূজার হিন্দু পুরাণে অসামান্য গুরুত্ব রয়েছে এবং বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। এটি ভালো কিছুর উপর মন্দের বিজয় এবং ধার্মিকতার উপর অধার্মিকতার বিজয়ের প্রতীক। ভক্তরা দেবীর পূজা করেন এবং এই দিনে তার দিবারক্ষা ও আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।

অষ্টমী পূজা ২০২৪ সূচি

২০২৪ সালের অষ্টমী পূজার সূচি নিম্নরূপ:

  • তারিখ: [অষ্টমী পূজার তারিখ]
  • সময়: [পূজার সময়]
  • আচার: [পালিত আচার-অনুষ্ঠানের বর্ণনা]
  • নৈবেদ্য: [দেবীকে নিবেদন করা সামগ্রী]
  • মন্ত্র: [পূজার সময় জপ করার মন্ত্র]

উৎসব ও উদযাপন

অষ্টমী পূজার দিন ভোরে ভক্তরা স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে পূজার প্রস্তুতি নেন। তারা দেবী দুর্গার মন্দির পরিদর্শন করেন, প্রার্থনা করেন এবং elaborate পূজা আচার পালন করেন। দেবীর উপস্থিতি আহ্বান করতে বিশেষ ভজন ও কীর্তনের আয়োজন করা হয় এবং তার আশীর্বাদ প্রার্থনা করা হয়।

অষ্টমী পূজা হিন্দুদের জন্য একটি গভীর ভক্তি ও উৎসর্গের সময়। তারা একত্রিত হয়ে মন্দের উপর ভালোর বিজয় উদযাপন করে এবং দেবী দুর্গার আশীর্বাদ প্রার্থনা করে। এই দিনে পালন করা আচার-অনুষ্ঠান ভক্তদের মধ্যে ঐক্য ও আধ্যাত্মিকতার অনুভূতি জাগায়, যা তাদের দেবীর সাথে গভীর সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।

দুর্গা পুজার ছবি








দুর্গা পুজার ব্যানার







বাংলাদেশের দুর্গা পুজা

বাংলাদেশে দুর্গা পূজা অত্যন্ত মহৎ ও ভক্তিমূলক একটি উৎসব, যা ব্যাপক উদ্দীপনা ও উৎসাহের সাথে উদযাপন করা হয়। এই উৎসব দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে পালিত হয়, যিনি বিশ্বের জননী এবং নারীর শক্তির প্রতীক হিসেবে পূজিত হন। সাধারণত অক্টোবর মাসে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং মন্দের উপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসেবে উদযাপিত হয়।

বাংলাদেশে দুর্গা পূজার উত্স ও ইতিহাস

বাংলাদেশে দুর্গা পূজার শিকড় প্রাচীন ধর্মীয় গ্রন্থ এবং পৌরাণিক কাহিনির সাথে যুক্ত। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুর নামে এক ভয়ংকর দৈত্য পৃথিবীতে ত্রাস সৃষ্টি করলে দেবতারা তাদের সম্মিলিত শক্তি থেকে দেবী দুর্গাকে সৃষ্টি করেন। দেবী দুর্গা সেই মহিষাসুরকে বধ করেন এবং পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এই পূজা মূলত সেই ঘটনার স্মৃতিচারণা করে, যেখানে দেবীর বিজয় উদযাপিত হয়।

বাংলাদেশে দুর্গা পূজার ঐতিহ্য ও রীতি

বাংলাদেশে দুর্গা পূজার সময় বিভিন্ন মহল্লা এবং এলাকায় জাঁকজমকপূর্ণ মণ্ডপ তৈরি করা হয়, যেখানে দেবী দুর্গা এবং তার সঙ্গীদের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই মূর্তিগুলো অত্যন্ত মনোরমভাবে তৈরি করা হয় এবং রঙিন সজ্জা, ফুল এবং অলঙ্কার দিয়ে সজ্জিত করা হয়। ভক্তরা দল বেঁধে মণ্ডপে আসেন, দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন, আশীর্বাদ গ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

উৎসবের সময়টি আনন্দ, ঐক্য এবং সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর সময়। ঐতিহ্যবাহী সংগীত, নৃত্য এবং নাট্য প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়, যা ভক্তদের আনন্দ দেয়। সুস্বাদু খাবার এবং মিষ্টান্ন তৈরি করে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা সমৃদ্ধি এবং ঐশ্বর্যের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

আরো পড়ুনঃ মুসলিম ছেলেদের আধুনিক নাম - ইসলামিক নাম অর্থসহ জেনে নিন 

বাংলাদেশে দুর্গা পূজার তাৎপর্য

বাংলাদেশে দুর্গা পূজা মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থান অধিকার করে। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং বাঙালি সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং কৃষ্টির প্রতিফলন। এই উৎসব সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করে, যা জাতি, ধর্ম এবং বর্ণের গণ্ডি পেরিয়ে যায়।

বাংলাদেশে দুর্গা পূজার উদযাপন মন্দের উপর ভালোর জয়, অন্ধকারের উপর আলোর জয় এবং অজ্ঞতার উপর জ্ঞানের জয়কে প্রতিফলিত করে। এটি এমন একটি সময়, যখন মানুষ দেবীর আশীর্বাদ প্রার্থনা করে এবং তার প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করে। এই উৎসব বাঙালি সমাজের মধ্যে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিচয়কে শক্তিশালী করে এবং তাদের মধ্যে এক ধরনের গর্বের অনুভূতি সঞ্চার করে।

লেখকের শেষকথাঃ শারদীয়া দূর্গা পূজার তারিখ ও সময়সূচী 2024

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম এবং রাতে এটি ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে এবং আপনারা কিছু শিখতে পেরেছেন। যদি কোনো অংশ বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন, আমি চেষ্টা করব আপনাকে সাহায্য করার।
আমি সবসময়ই আপনাদের জন্য আপডেট এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করি। আজকের আলোচনাটি এখানেই শেষ করছি। আশা করি, নতুন কোনো টপিক নিয়ে আবারও কথা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, এবং আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমাকে সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে দেন। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url