ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় - ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
পোস্ট সুচিপত্র: ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় - ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
- ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
- ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
- ফাউমি মুরগি চেনার উপায়
- ফাউমি মুরগির বাচ্চা চেনার উপায়
- ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি
- ফাউমি মুরগির খাদ্য তালিকা
- ফাউমি মুরগির দাম কত
- ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়
- ফাউমি মুরগি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন উত্তর
- লেখকের শেষকথাঃ ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় - ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয়
ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় এটা জানতে আমরা সবাই খুবই আগ্রহী। আশা করি আপনারা যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে ফাউমি মুরগির যাবতীয় সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ফাউমি মুরগি ভালো ডিম উৎপাদনের জন্য পরিচিত। এরা স্থানীয় মুরগির মতো ছোট সাদা ডিম পাড়ে। এরা সাধারণত ডিম দেয় না বা পাড়ে না। তবে দুই বছর বয়স থেকেই ফাউমি মুরগির ডিম পাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
মোরগ 5-6 সপ্তাহে অবিশ্বাস্যভাবে ডাকতে শুরু করে। মুরগি সাড়ে চার থেকে পাঁচ মাস পর তাদের 50% ডিম পাড়ে এবং ছয় মাস পর পূর্ণ ডিম পাড়া শুরু করে। তবে, আবহাওয়া এবং পরিবেশের উপর নির্ভর করে ডিম পাড়ার সময় বেশি বা কম সময় লাগতে পারে।
ফাউমি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো, তাই তারা সহজে অসুস্থ হয় না। ফাউমি মুরগিকে ডিমের রানি বলা হয় কারণ এটি একটানা ডিম পাড়ে।
ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
রোগের নাম | বয়স | ভ্যাকসিনের নাম | প্রয়োগ পদ্ধতি | প্রকৃতি |
---|---|---|---|---|
রাণীক্ষেত+ ব্রংকাইটিস | ১-৩ দিন | আইবি+ এনডি | চোখে ফোঁটা | লাইভ |
গামবোরো | ৭-৯ দিন | আই বি ডি | মুখে ফোঁটা | লাইভ |
রাণীক্ষেত | ১৬-১৭ দিন | ল্যাসোটা | চোখে ড্রপ | লাইভ |
গামবোরো আ | ১৮-২০ দিন | আই বি ডি | খাবার পানিতে | লাইভ |
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ( বার্ড ফ্লু ) | ২৪-২৮ দিন | এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ( H5N1 ) | চামড়ার নিচে ইনজেকশন | কিল্ড |
ফাউল পক্স | ৩০-৩৫ দিন | ফাউল পক্স | ডানায়সূচ ফুটানো | ডি এন এ লাইভ |
রাণীক্ষেত | ৬-৭ সপ্তাহ | এনডি | ঘাড়ের চামড়ার নিচে ইনজেকশন | কিল্ড |
ফাউল কলেরা | ৮ সপ্তাহ | ফাউল কলেরা | নির্দেশনা মোতাবেক | কিল্ড |
ইনফেকশাস করাইজা, সালমোনেলা | ৯ সপ্তাহ | করাইজা + সালমোনেলা | নির্দেশনা মোতাবেক | কিল্ড লাইভ |
ফাউল কলেরা | ১২ সপ্তাহ | ফাউল কলেরা | নির্দেশনা মোতাবেক | কিল্ড |
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (বার্ড ফ্লু) | ১৫-১৬ সপ্তাহ | এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা (H5N1) | চামড়ার নিচে ইনজেকশন | কিল্ড |
করাইজা, সালমোনেলা, রাণীক্ষেত, ব্রংকাইটিস |
১৬ সপ্তাহ | জি + এনডি +আইবি | নির্দেশনা মোতাবেক | কিল্ড |
ফাউমি মুরগি চেনার উপায়
ফাউমি মুরগি একটি খুবই জনপ্রিয় প্রজাতি। ফাউমি মুরগি বাংলাদেশের উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত জাত। ফাউমি চিকেন এতই সুস্বাদু যে আপনি এটি খেতে কখনই ক্লান্ত হবেন না।ফাউমি মুরগি এমন একটি জাত যা বাংলাদেশের গরম জলবায়ুর সাথে ভালোভাবে খাপ খায়।এই জাতটি খুব শক্ত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সহজেই চাষ করা যায়। ফাউমি মুরগির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং সহজে হজম হয়, তাই মানুষ এই মুরগি খেতে আপত্তি করে না। ফাউমি মুরগি বাংলাদেশের আরেকটি মুরগির জাত যা ব্রিডারদের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ফাউমি মুরগি কিভাবে চিনবেন: অনেক লোক ফাউমি মুরগি সম্পর্কে জানে না বা অন্য মুরগির থেকে ফাউমি মুরগির পার্থক্য করার ক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হয়। স্ক্যাম থেকে নিজেকে রক্ষা করতে, আসুন কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কথা বলি যার দ্বারা আপনি একটি ফেনা মুরগি চিনতে পারেন।
ঝুঁটি ও খাজ: ফাউমি মুরগির একটি বড় মুকুট এবং সমানুপাতিক পা থাকে, যা তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
লাল কানের লতি ও গলার ফুল: কানের লতি, মাথার ডগা এবংগলার ফুল উজ্জ্বল লাল। এই উজ্জ্বলতাই ফাউমি মুরগিকে অন্যান্য মুরগির জাতের থেকে আলাদা করে।
চোখ এবং ঠোঁটের রঙ: ফাউমি মুরগির চোখ বাদামী এবং ঠোঁট ধূসর। ফাউমি মুরগি এই বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে সনাক্ত করা সহজ।
পায়ের আঙুল এবং পায়ের নখ: ফাউমি মুরগির পায়ের নখ ধূসর এবং নীল-কালো পায়ের অধিকারী।
পালকের রঙ:
ফাউমি ছানাগুলি সম্পূর্ণ পালকযুক্ত, একটি রূপালী-সাদা ঘাড় এবং তাদের পালকের
উপর কালো দাগ রয়েছে।
বাইকলার ব্রিড: ফাউমি মুরগি দুটি রঙের জাত আসে: সিলভার পেন্সিল এবং গোল্ডেন পেন্সিল। যাইহোক, সিলভার পেন্সিল ফাউমি মুরগি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং সাধারণত প্রজনন করা মুরগি।
ফাউমি মুরগির ওজন এবং পরিচিতি: একটি প্রাপ্তবয়স্ক ফাউমি মোরগের গড় ওজন প্রায় 1.8 কেজি এবং একটি মুরগি প্রায় 1.5 কেজি। বর্তমানে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় মুরগির জাত হল ফাউমি সিলভার পেন। শক্তিশালী শরীর এবং সঠিক পরিবেশে দ্রুত বৃদ্ধির কারণে দেশীয় পোল্ট্রি খামারিদের মধ্যে এই মুরগি খুবই জনপ্রিয়।
ফাউমি মুরগির বাচ্চা চেনার উপায়
ফাউমি মুরগি বাংলাদেশের উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর জন্য উপযুক্ত এবং জনপ্রিয় জাত। ফাউমি ছানাগুলি সাধারণত নতুন প্রজননকারীদের পক্ষে চিনতে অসুবিধা হতে পারে কারণ তারা অল্প বয়সে অন্যান্য ছানাগুলির মতো দেখতে কিছুটা অনুরূপ হতে পারে।
যাইহোক, আপনি কিছু বৈশিষ্ট্য দ্বারা সহজেই ফাউমি ছানা সনাক্ত করতে পারেন। আজকের নিবন্ধে, আমরা ফুমি ছানা সনাক্ত করার জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
- ফাউমি ছানাগুলির মাথায় একটি ছোট কিন্তু স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান ক্রেস্ট থাকে। সময়ের সাথে সাথে এই শিলা বড় হয়। ফাউমি ছানার ক্রেস্ট অন্য ছানার তুলনায় কিছুটা তীক্ষ্ণ এবং বেশি বিকশিত।
- ফাউমি বাচ্চাদের রূপালী-সাদা এবং কালো দাগযুক্ত পালক থাকে। বাচ্চাদের বড় হওয়ার সাথে সাথে এই রঙগুলি ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়।ফাউমি ছানার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল সাদা পালকের উপস্থিতি, বিশেষ করে ঘাড়ের পাশে।
- ফাউমি মুরগির পায়ে সাধারণত নীলাভ বা ধূসর রঙ থাকে। তাদের পায়ের নখও হালকা ধূসর রঙের, অন্যান্য মুরগির জাত থেকে কিছুটা আলাদা।
- ফাউমি ছানার চোখ সাধারণত গাঢ় বাদামী হয়। এই চোখের রঙ অন্যান্য মুরগির জাতের তুলনায় উজ্জ্বল এবং উজ্জ্বল।
- যদিও এটি অল্প বয়সে স্পষ্ট নাও হতে পারে, তবে মাংসল মুরগির কানের লোবগুলির চারপাশে একটি লাল অংশ থাকতে পারে। গলার পাশের লোবগুলিও ধীরে ধীরে লাল হতে শুরু করে, যা বয়সের সাথে আরও লক্ষণীয় হয়ে ওঠে।
- ফাউমি মুরগি দ্রুত বড় হয় এবং সহজেই ডিম দিতে শুরু করে, যা তাদের পালন লাভজনক করে তোলে। বাংলাদেশের জলবায়ুর সাথে তাদের সহনশীলতা এবং অভিযোজনযোগ্যতা তাদের প্রজননের জন্য উপযুক্ত করে তোলে।
ফাউমি মুরগি পালন পদ্ধতি
ফাউমি মুরগি বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে, তাই তাদের লালন-পালন করা কঠিন নয়। বিশেষ করে এই ধরনের মুরগি খুব তাপ-প্রতিরোধী এবং তাই গ্রীষ্মের অঞ্চলেও রাখা খুব মনোরম।
ফাউমি মুরগির একটি খুব ভাল ইমিউন সিস্টেম আছে, তাই তারা সাধারণত সহজে অসুস্থ হয় না। এই মুরগিগুলিকে রাখতে, তাদের পাড়ার মুরগির মতো একই খাদ্য খাওয়াতে হবে এবং একটি বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি অনুসরণ করতে হবে।
ফাউমি মুরগি অন্যান্য মুরগির তুলনায় অর্থনৈতিকভাবে বেশি লাভজনক কারণ তারা মাঝে মাঝে ডিম দেয়। এই প্রজাতির মুরগি মারা যায় না, অর্থাৎ, তারা বার্ধক্য এবং রোগের জন্য কম সংবেদনশীল, এবং তাই দীর্ঘ সময়ের জন্য ডিম দিতে পারে। তাই যারা বাড়াতে চান তাদের জন্য হোমি চিকেন একটি ভালো বিকল্প।
বাম্বলবি মুরগি সাধারণত খাঁচায় বন্দী থাকতে পছন্দ করে না, তাই তাদের জায়গা প্রয়োজন। এমনকি যদি তাদের খামারে রাখা হয়, তবে দিনের অন্তত অংশ বিশেষ করে বিকেলে তাদের বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া উচিত। বাইরে যাওয়া এবং শাকসবজি এবং ঘাস খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং মুদিতে আপনার অর্থ বাঁচাতে পারে।
ফাউমি মুরগি বাংলাদেশের জলবায়ুর সাথে ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নেয় এবং বড় করা সহজ। তাদের একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম আছে, তারা দ্রুত ডিম পাড়ে এবং খোলা জায়গায় ঘোরাঘুরি করে খাওয়ার খরচ কমাতে পারে। সামগ্রিকভাবে, ফাউমি মুরগি পালনের একটি লাভজনক এবং সহজ উপায়।
ফাউমি মুরগির খাদ্য তালিকা
যদিও ফাউমি মুরগি লালন-পালন করা সহজ, তবে তাদের খাদ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন, বিশেষ করে যদি আপনি তাদের বাণিজ্যিকভাবে বড় করতে চান। ফাউমি মুরগির একটি ছোট দলকে দেশীয় মুরগির মতো সব ধরনের খাবার যেমন চাল, ভুট্টা, সার এবং শাকসবজি খাওয়ানো যেতে পারে।
তবে বাণিজ্যিক চাষের জন্য সঠিক সময়ে সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ করা জরুরি। পুষ্টি ব্যবস্থাপনায় আপনাকে সাহায্য করার জন্য নিচে ফাউমি ছানাদের ডিম থেকে পাড়া পর্যন্ত খাবারের একটি তালিকা দেওয়া হল। ফুমি মুরগির খাবারের তালিকা:
1 দিন থেকে 15 দিন পর্যন্ত: যখন ফাউমি ছানাগুলি প্রজনন ঋতু থেকে মুক্তি পায়, তখন তাদের প্রথম 24 ঘন্টা স্টার্টার ফিড খাওয়াতে হবে। এই সময়ে, তাদের পর্যাপ্ত বৃদ্ধির পুষ্টি সরবরাহ করা দরকার যাতে তারা দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকরভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
16 দিন থেকে 40 দিন পর্যন্ত: বাচ্চারা যখন বড় হয় তখন তাদের পাড়ার মুরগির খাবার খাওয়াতে হবে। এই সময়ে, তাদের শক্তি এবং পুষ্টির চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তাই এই খাবার তাদের দ্রুত বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করবে।
41 দিন থেকে 4.5 মাস পর্যন্ত: এই সময়ে, মুরগি পাড়ার জন্য খাদ্যের দানা বড় হওয়া উচিত। ফুমি মুরগির শরীর গঠনের জন্য এই সময়ের মধ্যে এই ধরনের খাবার প্রয়োজন।
ডিম্বস্ফোটনের 4.5 মাস আগে থেকে: যখন মুরগি প্রায় 20-50% ডিম দিতে শুরু করে, তখন তাদের পাড়ার মুরগি সরবরাহ করা উচিত। অল্প পরিমাণে গোল্ডেন গ্রোয়ার যোগ করলে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং ছানা সুস্থ থাকে।
সঠিক খাওয়ানোর সাথে, ফাউমি মুরগি দ্রুত ডিম পাড়ে এবং ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাখে। ছোট ছানাকে গৃহপালিত মুরগির মতো একই খাদ্য খাওয়ানো যেতে পারে, তবে বাণিজ্যিক চাষের জন্য সঠিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
ফাউমি মুরগির দাম কত
বর্তমান পরিস্থিতিতে সব ধরনের পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধির ফলে ফাউমি মুরগির খাদ্যের দামও উর্ধ্বমুখী। এই পরিবর্তনের ফলে, অন্যান্য প্রজাতির মতো ফাউমি মুরগির মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। যারা ফাউমি মুরগি পালন করতে চান বা করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই মূল্য বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয়।
বর্তমান স্পষ্ট বাজারদর অনুযায়ী, ফাউমি মুরগির প্রতিকেজি মূল্য ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে, বিভিন্ন অঞ্চল ও অবস্থান অনুযায়ী এ দামের মধ্যে কিছু ভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। বিশেষ করে, গ্রামীণ এলাকাগুলোতে দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে, যখন শহরের বাজারে এই মূল্য কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
ফাউমি মুরগি পালন করার খরচ কিছুটা বেড়ে গেছে; তবে, বাজারচর্চা ভালো থাকার কারণে এটি একটি লাভদায়ক ব্যবসায়িক উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ক্রয়ের পূর্বে বাজারদর সম্পর্কে সচেতন হলে এবং স্থানীয় বাজারের সাথে তুলনা করে সঠিক মূল্য নির্ধারণ করলে, ক্রেতারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন।
ফাউমি মুরগি বছরে কতটি ডিম দেয়
ফাউমি মুরগি পালন করার একটি প্রধান সুবিধা হলো তাদের স্বচ্ছন্দে উচ্চতর ডিম উৎপাদনের ক্ষমতা, যা অনেকের কাছে অজানা। সাধারণভাবে, ফাউমি মুরগি প্রতি বছরে ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম পাড়ে, যদি সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয় এবং মুরগিগুলো সুস্থ থাকে। যদিও ডিমের আকার অন্যান্য জাতের মুরগির তুলনায় কিছুটা ছোট, উৎপাদনের এই পরিমাণ নিশ্চিতভাবেই উল্লেখযোগ্য।
ফাউমি মুরগি সাধারণত দুই থেকে তিন বছর সময়কাল পর্যন্ত নিয়মিত ডিম পাড়তে সক্ষম। তবে, তিন বছর পরে তাদের ডিম উৎপাদনের হার কমতে শুরু করে। যারা ফাউমি মুরগির ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ ধরনের খাদ্য বা ঔষধ প্রয়োগ করেন, তাদের ক্ষেত্রে ডিমের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে।
সঠিক পুষ্টি এবং খাদ্যের মাধ্যমে এই মুরগি থেকে উচ্চমানের ডিম সংগ্রহ করা সম্ভব, যা ফাউমি মুরগির উচিশ্রেণীর ডিম উৎপাদন ক্ষমতা ও দীর্ঘমেয়াদী ডিম দেওয়ার সক্ষমতা এটিকে একটি লাভজনক ব্যবসায়িক উদ্যোগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
ফাউমি মুরগি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসা ও প্রশ্ন উত্তর
ফাউমি মুরগির উৎস কোথায়?ফাউমি মুরগি মূলত মিশর থেকে উদ্ভূত একটি প্রজাতি। এটি বাংলাদেশের জলবায়ুর সঙ্গে বেশ ভালোভাবে খাপ খাওয়া সক্ষম, কারণ এই মুরগি গরম পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।
ফাউমি মুরগি বছরে কতগুলো ডিম দেয়?
সাধারণভাবে, ফাউমি মুরগি
বছরে ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম দিয়ে থাকে, যা ডিম উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত।
তবে, সঠিক পুষ্টি এবং যত্নের মাধ্যমে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো যেতে পারে।
ফাউমি মুরগির ডিমের আকার কেমন?
ফাউমি মুরগির ডিম অন্যান্য
প্রজাতির ডিমের তুলনায় কিছুটা ছোট। তবে, এর পুষ্টিগুণ অত্যন্ত উচ্চমানের
এবং বাজারে ডিমের চাহিদা যথেষ্ট।
লেখকের শেষকথাঃ ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় - ফাউমি মুরগির ভ্যাকসিন তালিকা
আশা করছি আজকের নিবন্ধ থেকে ফাউমি মুরগি কত দিনে ডিম দেয় - ফাউমি মুরগির
ভ্যাকসিন তালিকা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ফাউমি
মুরগি পালন করতে হলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান
থাকতে হবে। যদি সঠিক পদ্ধতি এবং যত্ন অনুসরণ করা যায়, তবে ফাউমি মুরগি
রাখার উদ্যোগটি আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত হতে পারে।
নিবন্ধটি
যদি আপনার কাছে ভালো লাগে, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন এবং যদি
আপনার কোনো প্রশ্ন বা বিভ্রান্তি থাকে, তবে আপনি নির্দ্বিধায় আমাদের
সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার সঙ্গ আমাদের জন্য সর্বদা মূল্যবান। পড়ার
জন্য অনেক ধন্যবাদ।
মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url