আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৪

আপনি কি আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আপনি যদি  আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।আপনি যখন কোনো দেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন, তখন অবশ্যই সেই দেশের কাজের বাজার, ভিসার প্রক্রিয়া, এবং সেই দেশের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।এখানে আরো জানতে পারবেন আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং খরচ কত এরকম আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে।  

পোস্ট সূচিপত্রঃ আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৪

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৪

আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার পদ্ধতি অনেকের কাছেই জটিল মনে হতে পারে, তবে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে প্রক্রিয়াটি সহজ হয়ে যায়। যারা আয়ারল্যান্ডে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এই আর্টিকেলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদনঃ ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পরেই আপনাকে দ্রুত ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য আপনাকে AVATS (Irish Online Visa Application Service) এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে আবেদনপত্র সাবমিট করতে হবে।

ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াঃ আপনি সরাসরি আয়ারল্যান্ড সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে পারেন বা একটি অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে পারেন।
অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া:

  • https://www.irishimmigration.ie/ এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
  • আবেদন ফর্ম পূরণের পরে, সমস্ত তথ্য যাচাই করে সাবমিট করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন, ওয়ার্ক পারমিটের কপি, পাসপোর্ট, ছবিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে এবং জমা দিতে হবে।

এজেন্সির মাধ্যমে আবেদনঃ আপনি চাইলে আয়ারল্যান্ড সরকার অনুমোদিত কোনো এজেন্সির মাধ্যমেও ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারেন। এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হলে, তাদের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে আবেদনঃ বাংলাদেশে আপনি VFS Global এর মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন জমা দিতে পারেন। তারা আপনার ফাইল প্রস্তুত করে আয়ারল্যান্ড এম্বাসিতে জমা দেবে। তবে এখানে আবেদনকারীর সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ দালালদের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই স্বীকৃত এজেন্সি এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

ভিসার জন্য ফাইল জমাঃ যদি আপনার আয়ারল্যান্ডে পরিচিত কেউ থাকে, তাহলে তারা সাহায্য করতে পারে একটি নির্ভরযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে প্রসেসিং করাতে। এছাড়াও, বাংলাদেশে অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন জমা দেওয়া সম্ভব।

  • ভিসার আবেদন ফরম পূরণ করার পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং সাক্ষাৎকারের জন্য আপনাকে ডাকা হতে পারে।
  • ভিসার জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময় সাধারণত ৮ সপ্তাহ লাগতে পারে, তাই ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।

আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করার সময় কোনো ভুল বা বানোয়াট তথ্য দেওয়া হলে ভিসা বাতিল হতে পারে এবং আবেদনকারীকে ৫ বছরের জন্য ভিসার জন্য ব্লক করা হতে পারে।

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি পূর্ণ ধারণা পেতে পারবেন, যা আপনার বিদেশে কর্মজীবনের প্রস্তুতি সহজতর করবে।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৪ আলোচনা করার পরে এখন আমরা আলোচনা করবো আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে।আশা করি আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পরবেন।আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার জন্য দুটি আলাদা আবেদন প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথমত, আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে হবে, এবং সেটি অনুমোদিত হওয়ার পর আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আয়ারল্যান্ডে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য ভিসা প্রদান করা হয়, যার মধ্যে স্বল্প এবং দীর্ঘ মেয়াদের ভিসা অন্তর্ভুক্ত।

ওয়ার্ক পারমিটঃ প্রথম ধাপে The Department of Enterprise, Trade, and Employment (DETE) কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হবে। DETE থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ সিলেটের বিখ্যাত পর্যটন স্থানসমূহ

ভিসাঃ ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর, Long Stay D Visa এর জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসাটি একটি দীর্ঘমেয়াদী ভিসা যা আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আয়ারল্যান্ডে কাজ করার অনুমতি দেয়। প্রাথমিকভাবে এই ভিসা ২ বছরের জন্য মঞ্জুর করা হয়, তবে পরবর্তীতে আরো ৩ বছরের জন্য নবায়ন করা যায়। 

৫ বছর বৈধভাবে কাজ করার পর, আপনি আয়ারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ওয়ার্ক পারমিটের ধরন:

আয়ারল্যান্ডের DETE কর্তৃপক্ষ ৯ ধরনের ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করে থাকে:

  1. General Employment/Work Permit: সাধারণ কাজে নিয়োগের জন্য।
  1. Critical Employment/Work Permit: বিশেষ ধরনের উচ্চ চাহিদার কাজের জন্য।
  1. Dependant/Partner/Spouse Employment/Work Permit: পরিবারের সদস্যদের জন্য।
  1. Intra Company Transfer Employment/Work Permit: প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের জন্য।
  1. Internship Employment/Permit: ইন্টার্নশিপের জন্য।
  1. Contract for Services Employment/Work Permit: নির্দিষ্ট সেবা চুক্তির ভিত্তিতে।
  1. Sport and Cultural Employment/Work Permit: ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক কাজে।
  1. Exchange Agreement Employment/Work Permit: বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে।
  1. Reactivation Employment/Work Permit: পূর্বের ওয়ার্ক পারমিট পুনরায় সক্রিয় করার জন্য।

৫ বছরের জন্য আয়ারল্যান্ডে বৈধভাবে কাজ করার পর, আপনি সেই দেশে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটি একটি বড় সুবিধা যারা আয়ারল্যান্ডে দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার গড়তে চান।

সুতরাং, আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে হলে সঠিকভাবে ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনি কি আয়ারল্যান্ডে কাজ করার পরিকল্পনা করছেন? যদি তাই হয়, তাহলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করা অপরিহার্য। এই ভিসা আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আইরিশ নিয়োগকর্তার অধীনে বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি দেয়। এই আর্টিকেলে, আমরা আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের বিখ্যাত মসজিদ গুলো সম্পর্কে জেনে নিন 

আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা একটি আইনগত নথি, যা বিদেশি নাগরিকদের আয়ারল্যান্ডে একটি নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার অনুমতি দেয়। এই ভিসা সাধারণত সেই ব্যক্তিদের দেওয়া হয় যারা আইরিশ নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির অফার পেয়েছে এবং নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করেছে।আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিচে দেয়া হলঃ

  1. চাকরির অফার লেটার: আয়ারল্যান্ডের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চাকরির অফার লেটার জমা দিতে হবে, যাতে বেতন, কাজের পদ এবং কাজের মেয়াদ উল্লেখ থাকবে।

  2. পাসপোর্ট: আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ আবেদন করার তারিখ থেকে কমপক্ষে ছয় মাস বৈধ থাকতে হবে।

  3. পাসপোর্ট সাইজের ছবি: সাদা পটভূমিসহ সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন।

  4. শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং ট্রান্সক্রিপ্টের কপি জমা দিতে হবে।

  5. আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ: আয়ারল্যান্ডে থাকার সময় নিজের খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ দিতে হবে।

  6. চিকিৎসা বীমা: আয়ারল্যান্ডে অবস্থানকালের জন্য চিকিৎসা বীমার প্রমাণ প্রদান করতে হবে।

  7. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট: নিজের দেশ বা যে কোনো দেশে ছয় মাসের বেশি বসবাস করার ক্ষেত্রে পুলিশের ছাড়পত্র জমা দিতে হবে।

  8. আবেদন ফর্ম: সম্পূর্ণ পূর্ণাঙ্গ ভিসা আবেদন ফর্ম জমা দিতে হবে।

সর্বশেষে বলা যায়, আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য সঠিকভাবে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আপনার আবেদন প্রক্রিয়া অনেক সহজতর হবে। সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত করে আবেদন জমা দিলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং আপনি আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। 

General Employment/Work Permit নন স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট

আয়ারল্যান্ডে বৈধভাবে কাজ করার জন্য বিদেশি নাগরিকদের ওয়ার্ক পারমিট প্রয়োজন, এবং আয়ারল্যান্ড সরকার ৯ ধরনের এমপ্লয়মেন্ট বা ওয়ার্ক পারমিট প্রদান করে। এর মধ্যে অন্যতম হলো General Employment/Work Permit, যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইকোনমিক এরিয়া (EEA) এর বাইরের দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য। এই পারমিটের অধীনে, যে কেউ যে কোনো পেশায় কাজের অনুমতি পেতে পারে, তবে বিশেষ করে নন-স্কিলড কাজের ক্ষেত্রে এই পারমিট ব্যবহার করা হয়।য়

নন-স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট মূলত হোটেল সেফ, বুচারি, ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার এবং কনস্ট্রাকশন খাতের কর্মীদের জন্য দেয়া হয়। এটি সাধারণত দুই বছরের মেয়াদের জন্য ইস্যু করা হয়, তবে পরে এই মেয়াদ আরো তিন বছরের জন্য বাড়ানো সম্ভব। পাঁচ বছর আয়ারল্যান্ডে বৈধভাবে কাজ করার পর, আপনি সেই দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

নন-স্কিলড ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে নিচের কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হবে:

  1. বৈধ পাসপোর্ট: আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ নতুনদের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৬ মাস এবং পুরাতনদের জন্য ৩ মাস থাকতে হবে।
  2. শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ: আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
  3. কাজের অভিজ্ঞতার সনদ: যদি আপনার কাছে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে তার সনদপত্র জমা দিতে হবে।
  4. কাজের চুক্তিপত্র: এতে বার্ষিক আয়ের উল্লেখ থাকতে হবে (নতুনদের জন্য প্রযোজ্য নয়)।
  5. কোম্পানির তথ্য: নিয়োগকর্তার কোম্পানির নাম, নম্বর, রেজিস্ট্রেশন এবং ঠিকানা জমা দিতে হবে।
  6. রেসিডেন্ট রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স নম্বর: যারা আয়ারল্যান্ডে পূর্বে থেকেই বসবাস করছেন, তাদের জন্য প্রযোজ্য।

ওয়ার্ক পারমিট আবেদন প্রক্রিয়াঃ General Employment/Work Permit এর আবেদন সম্পূর্ণ অনলাইনে করতে হবে। Employment Permit Online System (EPOS) এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। আবেদন জমা দিলে একটি আইডি নম্বর প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার আবেদন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

নন-স্কিলড ওয়ার্ক পারমিটের খরচঃ ওয়ার্ক পারমিটের খরচ নির্ভর করে আপনি কত সময়ের জন্য আয়ারল্যান্ডে থাকতে চান তার উপর। উদাহরণস্বরূপ:

  • ৬ মাসের জন্য: প্রসেসিং ফি ৫০০ ইউরো।
  • ৬ মাস থেকে ২ বছরের কম সময়ের জন্য: ফি ১০০০ ইউরো।
  • মেয়াদ বৃদ্ধি: ৬ মাসের জন্য ৭৭৫ ইউরো এবং ৬ মাসের বেশি সময়ের জন্য ১৫০০ ইউরো।

কোম্পানির দায়িত্বঃ যদি আপনার নিয়োগকর্তা সরাসরি আপনাকে হায়ার করে, তাহলে কোম্পানি আপনার সমস্ত খরচ বহন করবে। যেমন- ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং ফি, বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ।

আয়ারল্যান্ডে নন-স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হতে পারে, তবে সঠিকভাবে কাগজপত্র প্রস্তুত করলে আপনি সহজেই এই পারমিট পেতে পারেন। নিয়ম মেনে আবেদন করলে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দিলে আপনার কাজের সুযোগ অনেক বাড়বে।

Critical Employment Permit স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট

আয়ারল্যান্ডে কাজ করার জন্য বৈধ অনুমতিপত্র থাকা অপরিহার্য। এর মধ্যে অন্যতম হলো স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট, যা মূলত উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য প্রদান করা হয়। যারা নির্দিষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পন্ন এবং আয়ারল্যান্ডের অর্থনীতিতে বিশেষ প্রয়োজনীয় সেক্টরে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয়, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কীভাবে আপনি একটি স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট (Critical Employment Permit) পেতে পারেন।

স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট, যা Critical Employment Permit নামেও পরিচিত, আয়ারল্যান্ডে দক্ষ কর্মীদের কাজ করার অনুমতি প্রদান করে। এটি মূলত তাদের জন্য দেয়া হয়, যারা এমন পেশায় নিযুক্ত হন যা আয়ারল্যান্ডে অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন এবং কম সরবরাহে রয়েছে। আয়ারল্যান্ড সরকার নির্ধারিত এসব পেশায় কাজ করার যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদেরই এই পারমিট প্রদান করা হয়।

স্কিলড ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করার যোগ্য হতে হলে, একজন ব্যক্তির আয়ারল্যান্ডের একজন নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট স্কিলের পেশায় চাকরির অফার থাকতে হবে। চাকরির অফারটি অবশ্যই আয়ারল্যান্ডের "ক্রিটিকাল স্কিলস" তালিকার আওতাধীন হতে হবে এবং এই পেশায় কাজের জন্য নির্ধারিত ন্যূনতম বেতনের মান পূরণ করতে হবে।

 সাধারণত, এই চাকরির মেয়াদ অন্তত দুই বছরের জন্য হতে হবে। এছাড়াও, আবেদনকারীর আয়ারল্যান্ডের ব্যবসা, এন্টারপ্রাইজ এবং ইনোভেশন ডিপার্টমেন্ট দ্বারা নির্ধারিত নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।

স্কিলড ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া কিছু ধাপের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়। প্রথমে, নিয়োগকর্তাকে লেবার মার্কেট নিডস টেস্ট (Labour Market Needs Test) সম্পন্ন করতে হবে, যার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে ইউরোপীয় ইকোনমিক এরিয়া (EEA) এর ভেতরে কোন যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। এই টেস্টের পর, নিয়োগকর্তা কর্মচারীর পক্ষ থেকে স্কিলড ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন জমা দিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ কিউট, সুইট ও মুসলিম ছোট বাচ্চাদের পিকচার 

স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট থাকার ফলে কর্মী ও নিয়োগকর্তা উভয়ের জন্যই অনেক সুবিধা রয়েছে। কর্মীদের জন্য এটি আয়ারল্যান্ডে বৈধভাবে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও, কর্মীরা এই সময়ে উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং পরে আয়ারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারে। নিয়োগকর্তাদের জন্য, এটি দক্ষ কর্মী নিয়োগের সুযোগ তৈরি করে যা তাদের ব্যবসার উন্নতি ও প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট, বা Critical Employment Permit, আয়ারল্যান্ডে কাজ করতে আগ্রহী দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। যোগ্যতা পূরণ করে এবং সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আপনি এই পারমিটের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে ক্রিটিকাল স্কিলস সেক্টরে কাজের সুযোগ পেতে পারেন। তাই, আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে কাজ করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে স্কিলড ওয়ার্ক পারমিট আপনার ক্যারিয়ারের জন্য একটি নতুন ও আকর্ষণীয় সুযোগ উন্মোচন করতে পারে।

বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

যদি আপনি ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে হয়তো ভাবছেন যে এই ভ্রমণে কত টাকা খরচ হবে। ভ্রমণের খরচ বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া, পরিবহন, খাবার এবং অন্যান্য কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে অনেকটাই পরিবর্তিত হতে পারে। এই নিবন্ধে আমরা ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণের খরচের বিশদ বিবরণ তুলে ধরব, যা আপনাকে আপনার ভ্রমণ সঠিকভাবে পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে।

বিমান ভাড়াঃ বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণের সবচেয়ে বড় খরচের মধ্যে একটি হলো বিমান ভাড়া। বছরের কোন সময়ে ভ্রমণ করছেন, কোন বিমান সংস্থা নির্বাচন করছেন এবং কতো আগেই টিকিট বুক করছেন তার ওপর ভাড়া নির্ভর করে। গড়ে ঢাকা থেকে ডাবলিন পর্যন্ত রাউন্ড ট্রিপ ফ্লাইটের ভাড়া ইকোনমি ক্লাসে $৮০০ থেকে $১৫০০ এর মধ্যে হতে পারে।

থাকার খরচঃ আয়ারল্যান্ডে থাকার খরচের পরিমাণ অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের আবাসন পছন্দ করছেন এবং কোন স্থানে অবস্থান করছেন। গড়ে একটি বাজেট হোটেলের এক রাতের খরচ $৫০ থেকে $১০০ হতে পারে, আর একটি মাঝারি মানের হোটেলের খরচ $১০০ থেকে $২০০ পর্যন্ত হতে পারে। খরচ বাঁচানোর জন্য আপনি হোস্টেল বা Airbnb-তেও থাকতে পারেন।

পরিবহন খরচঃ আয়ারল্যান্ডে পৌঁছে আপনাকে দেশের ভেতরে ভ্রমণের জন্য পরিবহনের খরচও ভাবতে হবে। পাবলিক পরিবহন যেমন বাস বা ট্রেনের খরচ মোটামুটি সাশ্রয়ী, যা প্রতিবার যাত্রায় $২ থেকে $৫ হতে পারে। যদি আপনি গাড়ি ভাড়া করতে চান, সাধারণত প্রতিদিনের গড় খরচ $৫০ থেকে শুরু হয়।

আরো পড়ুনঃ  শারদীয়া দূর্গা পূজার তারিখ ও সময়সূচী 2024 

খাবারের খরচঃ খাবারের খরচও আপনার পছন্দের ওপর নির্ভর করে। গড়ে একটি মাঝারি মানের রেস্টুরেন্টে খাওয়ার খরচ $২০ থেকে $৩০ হতে পারে, আর একটি ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে খাওয়ার খরচ $৫ থেকে $১০ হতে পারে। খরচ বাঁচানোর জন্য আপনি গ্রোসারি কিনে নিজে রান্নাও করতে পারেন।

কার্যক্রম ও আকর্ষণীয় স্থান ভ্রমণঃ আয়ারল্যান্ডে অনেক আকর্ষণীয় স্থান এবং কার্যক্রম রয়েছে, যেমন ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করা বা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা। আকর্ষণীয় স্থানে প্রবেশের জন্য সাধারণত $১০ থেকে $২০ পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এছাড়া গাইডেড ট্যুর বা আউটডোর কার্যক্রমের জন্য খরচ অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।

সবমিলিয়ে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণের খরচ বিভিন্ন বিষয়ে যেমন বিমান ভাড়া, আবাসন, পরিবহন, খাবার এবং কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সঠিকভাবে বাজেট নির্ধারণ করে ও আগে থেকে পরিকল্পনা করে আপনি আপনার ভ্রমণটি উপভোগ্য ও সাশ্রয়ী করতে পারবেন।

আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা প্রসেসিং খরচ কত

আয়ারল্যান্ডে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে হলে Long Stay - D Visa প্রয়োজন হয়, যা আপনাকে সেখানে দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানের সুযোগ দেয়। এই ভিসার জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার ফি ৬০ ইউরো এবং মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার ফি ১০০ ইউরো। এই ফি দুটি ধরণের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রযোজ্য, যেমন: General Employment/Work Permit (নন-স্কিলড) এবং Critical Employment Permit (স্কিলড)।

General Employment/Work Permit (Non-Skilled Work Permit)ঃ General Employment/Work Permit আয়ারল্যান্ডে নন-স্কিলড কাজের জন্য অনুমতি দেয়, তবে এই ভিসা প্রসেসিং এর ফি ১৬টি দেশের নাগরিকদের জন্য মওকুফ করা হয়েছে। এই দেশগুলো হলো:

  • বসনিয়া
  • ইকুয়েডর
  • ইন্দোনেশিয়া
  • জামাইকা
  • কসভো
  • কাজাকিস্তান
  • মন্টিনিগো
  • মরক্কো
  • নর্থ মেসিডোনিয়া
  • পেরু
  • সার্বিয়া
  • শ্রীলঙ্কা
  • উগান্ডা
  • জাম্বিয়া
  • কোড ডিভোয়ার

Critical Employment Permit (Skilled Work Permit)ঃ Critical Employment Permit বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত। আয়ারল্যান্ডে যে সকল পেশা এবং দক্ষতা উচ্চ চাহিদার মধ্যে রয়েছে এবং দেশে পর্যাপ্ত যোগ্য লোক নেই, সেই কাজের জন্য এই পারমিট প্রদান করা হয়। স্কিলড ওয়ার্ক পারমিটধারীরা ভিসার মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডে প্রবেশ করে সেখানে আইনীভাবে কাজ করতে পারেন।

আপনার ভিসা ফি জমা দেওয়ার পর একটি আবেদন সামারি ফর্ম প্রদান করা হবে, যেখানে একটি নির্দিষ্ট ইমেইল ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। সেই ইমেইল ঠিকানায় আপনার অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে। আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসা যারা পেয়েছেন তারা সরাসরি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে আসতে পারবেন না। এর জন্য আলাদা ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসার আবেদন করতে হবে। অন্যথায়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আলাদা ভাবে General Employment বা Critical Employment Permit-এর জন্য আবেদন করতে হবে।

ভারতে আয়ারল্যান্ড এম্বাসি ও কনসুলেটঃ যদি আপনি ভারতের দূতাবাস থেকে আয়ারল্যান্ডের কাজের ভিসা আবেদন করেন, তাহলে খরচ কিছুটা কম হতে পারে। প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। অন্যদিকে, যদি আপনি কোনো এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করেন, তাহলে খরচ বেড়ে ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই খরচ ভিসার ধরন, প্রসেসিং টাইম এবং অন্যান্য খরচের ওপর নির্ভর করে কম বা বেশি হতে পারে।

আয়ারল্যান্ডে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে সঠিক প্রক্রিয়া মেনে চলা জরুরি। আপনার ভিসা প্রসেসিং ফি এবং অন্যান্য খরচের বিষয়গুলি আগে থেকেই জেনে নেওয়া ভালো, যাতে ভ্রমণের পূর্বে বাজেট নির্ধারণ করা সহজ হয়।

আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশীরা কি কাজ করে

এখন আমি আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিরা কী ধরনের কাজ করে সে বিষয়ে আলোচনা করব। আপনি যদি আয়ারল্যান্ডে কাজ করতে আগ্রহী হন, তাহলে এই তথ্যগুলো আপনাকে সাহায্য করবে। আজকের আর্টিকেলে আপনি আয়ারল্যান্ড সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন, কিন্তু এখন বিস্তারিত জানব বাংলাদেশিরা কোন ধরনের কাজ গুলো করে আয়ারল্যান্ডে।বাংলাদেশিরা সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পেশায় নিয়োজিত হন। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজের তালিকা দেওয়া হলো যেগুলো বাংলাদেশিরা আয়ারল্যান্ডে করেন:

বাংলাদেশিরা যে ধরনের কাজ করে থাকে:

  • সাটারিং কার্পেন্টার: বিল্ডিংয়ের কাঠামো নির্মাণ এবং স্থাপত্যে সাটারিং কার্পেন্টারের কাজ বাংলাদেশিদের মধ্যে জনপ্রিয়।
  • স্টিল ফিক্সার: কনস্ট্রাকশনের সময় কংক্রিটের জন্য স্টিলের রড বা অন্যান্য ধাতব উপকরণ বসানোর কাজ করে থাকেন।
  • মেশিন অপারেটর: বিভিন্ন নির্মাণ মেশিন চালানো এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন।
  • ইলেকট্রিশিয়ান: বাড়ি, অফিস বা অন্যান্য স্থাপনার বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করেন।
  • প্লাম্বার: পানি সরবরাহ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের কাজ করেন।
  • ফোরম্যান: কনস্ট্রাকশন বা উৎপাদন ক্ষেত্রে ফোরম্যান হিসেবে কাজ করেন যারা গোটা প্রক্রিয়া তদারকি করেন।
  • ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: বড় প্রকল্পে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন, বিশেষত যারা প্রযুক্তিগত এবং প্রকৌশল সংক্রান্ত কাজের অভিজ্ঞ।
  • কনস্ট্রাকশন কাজ: সাধারণ নির্মাণকাজের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
  • বারিস্তা: ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টে কফি প্রস্তুত ও বিক্রি করেন।
  • শেফ: হোটেল ও রেস্টুরেন্টে শেফ হিসেবে কাজ করেন, যেখানে বিভিন্ন ধরণের খাবার তৈরি করেন।
  • হোটেল বয়: হোটেলে বিভিন্ন সার্ভিস ও সহায়তা প্রদান করেন।

অভিজ্ঞতার গুরুত্বঃ যদি আপনি উপরের কোনো কাজে অভিজ্ঞ হন, তাহলে আপনি আয়ারল্যান্ডের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিশেষ করে ইলেকট্রিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কাজে অভিজ্ঞ হলে আপনাকে আবেদন করার সময় আপনার অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।

আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশিরা এইসব পেশায় সাফল্যের সাথে কাজ করছেন এবং তাদের কর্মদক্ষতার কারণে আয়ারল্যান্ডের শ্রমবাজারে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন।

আয়ারল্যান্ড কাজের ভিসা নিয়ে সতর্কতা

সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন ভিসা প্রক্রিয়ার কথা আসে। আমাদের দেশে প্রতারণার অভাব নেই, তাই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, কাউকে ভিসার কাজ করানোর জন্য কিংবা টাকার বিনিময়ে কাউকে নির্ভরশীল না হন।

অনেকে ভিসার কথা বলে ওয়ার্ক পারমিটের কথা বোঝাতে পারে। মনে রাখবেন, ওয়ার্ক পারমিট হল আপনার কাজের জন্য নির্বাচিত হওয়ার প্রমাণ, যা ভিসা নয়। আপনি যদি কোনো ওয়ার্ক পারমিট জমা দেন, তাহলে তারপরে আয়ারল্যান্ডের এমব্যাসি আপনার সব কাগজপত্র পরীক্ষা করবে। কেবল সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার ভিসা প্রাপ্তি সম্ভব।

লেনদেনে সতর্ক থাকুন। যে কাউকে টাকা দেওয়ার আগে নিশ্চিত করুন তার সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন এবং প্রমাণ রাখুন। এই প্রক্রিয়ায় আপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করা আপনার দায়িত্ব। তাই সচেতন থাকুন এবং প্রতারণার শিকার হবেন না।

লেখকের শেষকথাঃ আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৪

প্রিয় পাঠক, আজকের আলোচনায় আয়ারল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ২০২৪ এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য হলো উন্নত জীবনের সন্ধানে আয়ারল্যান্ডে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের সহায়তা করা এবং যারা ইতিমধ্যেই আয়ারল্যান্ডে আছেন তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতি আপনাকে একটি সফল অভিবাসন ও কর্মজীবনের পথে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনার জন্য উপকারী হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url