মালয়েশিয়া ভিসার দাম ২০২৪-মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
পোস্ট সূচিপত্রঃ মালয়েশিয়া ভিসার দাম ২০২৪-মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
- মালয়েশিয়া ভিসার দাম ২০২৪
- মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
- মালয়েশিয়া কোন কোন ভিসা চালু আছে
- বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে?
- পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক
- মালয়েশিয়া ভিসা ফি কিভাবে দিতে হয়
- মালয়েশিয়া টাকার রেট কত?
- মালয়েশিয়ান ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- মালয়েশিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
- মালয়েশিয়া ভিসার সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
- শেষকথাঃ মালয়েশিয়া ভিসার দাম ২০২৪-মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
মালয়েশিয়া ভিসার দাম ২০২৪
আপনি কি মালয়েশিয়া ভিসার দাম ২০২৪ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য খরচ পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন ধরণের ভিসা পাওয়া যায় এবং প্রত্যেক ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ ভিন্ন হয়। এখানে ভিসার বিস্তারিত মূল্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (Work Permit Visa)
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মালয়েশিয়ায় কাজ করার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিসা। ২০২৪ সালে এই ভিসার জন্য খরচ ন্যূনতম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে কিছু এজেন্সি এর জন্য ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাবি করতে পারে, যা অনেক সময় অতিরিক্ত খরচের সাথেও যুক্ত হয়।
টুরিস্ট ভিসা (Tourist Visa)
মালয়েশিয়া একটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য, তাই টুরিস্ট ভিসার চাহিদাও বেশ ভালো। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার খরচ ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে খরচ ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা মূলত বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচের উপর নির্ভর করে।
ফ্রি ভিসা (Free Visa)
ফ্রি ভিসার নামের অধীনে অনেক প্রতারণা হয়, বিশেষ করে দালালদের মাধ্যমে। যারা পূর্বে মালয়েশিয়ায় আত্মীয়-স্বজন রাখেন তাদের জন্য ফ্রি ভিসা কার্যকর হতে পারে, তবে নতুন অভিবাসীদের জন্য এটি একটি প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে। ফ্রি ভিসার জন্য সাধারণত ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়। কখনও কখনও এই খরচ ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
কৃষি ভিসা (Agriculture Visa)
মালয়েশিয়ায় কৃষি কাজে প্রবেশের জন্য কৃষি ভিসা নেওয়া হয়। এই ভিসার জন্য খরচ ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যদি কোনো দালালের মাধ্যমে কৃষি ভিসা নেওয়া হয়, তবে খরচ আরো বেশি হতে পারে।
স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করা যায়। ২০২৪ সালে এই ভিসার জন্য খরচ ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্স ফি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে।
কোম্পানি ভিসা (Company Visa)
যেসব বাংলাদেশী নাগরিক মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করার জন্য নিয়োগ পেয়ে থাকেন, তাদের জন্য কোম্পানি ভিসা রয়েছে। এই ভিসার জন্য খরচ ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা কোম্পানি এবং কাজের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে।
ফ্যাক্টরি ভিসা (Factory Visa)
বাংলাদেশ থেকে খুব কম সংখ্যক নাগরিক সরকারিভাবে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে কাজ করার জন্য ভিসা পান। ফ্যাক্টরি ভিসার খরচ ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যেখানে এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা নিলে খরচ একটু বেশি হতে পারে।
বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য খরচ
মালয়েশিয়া ভিসার খরচের সাথে বিমান ভাড়া এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচও অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণত, একজন ব্যক্তির মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য মোট খরচ ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকে, তবে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী এই খরচ বেড়ে যেতে পারে।
সতর্কতা
মালয়েশিয়া ভিসা প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রতারণা হতে পারে, বিশেষ করে ফ্রি ভিসার ক্ষেত্রে। তাই দালালদের মাধ্যমে ভিসা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সরকারের অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম ২০২৪ সালে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী খরচ ভিন্ন হয়। কাজের ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, এবং অন্যান্য ক্যাটাগরির ভিসার জন্য খরচ ভিন্ন হলেও, সব ক্ষেত্রেই খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে জানতে হলে এই অংশটুকু আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। মালয়েশিয়া ভিসার জন্য বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ বা কাজের উদ্দেশ্যে প্রচুর আবেদন জমা পড়ে। বিশেষ করে যারা মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাদের জন্য সঠিক উপায়ে আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ। নিচে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হলো।
মালয়েশিয়া ভিসার ধরন:
১. ই-ভিসা (e-Visa): অনলাইনে আবেদন করার সুবিধা রয়েছে, সাধারণত ভ্রমণের জন্য।
২. ওয়ার্ক ভিসা (Work Visa): কর্মসংস্থানের জন্য।
৩. স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa): শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে।
৪. পর্যটক ভিসা (Tourist Visa): পর্যটন এবং ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য।
৫. বিজনেস ভিসা (Business Visa): ব্যবসায়িক কাজে মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য।
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
১. পাসপোর্ট: কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকতে হবে এবং কমপক্ষে ৩টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি: ভেরিফিকেশনের জন্য।
৩. পাসপোর্ট সাইজ ছবি: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের।
৪. বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট: মালয়েশিয়ার কর্মসংস্থানের জন্য আবেদনকারীদের জন্য প্রয়োজন।
৫. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
6. কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট।
আবেদন পদ্ধতি:
১. সরকারি পদ্ধতি (BMET এর মাধ্যমে):
- বিএমইটির মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
- দক্ষতার সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।
- বিএমইটিতে ভিসা আবেদন প্রসেস করতে হবে।
২. "আমি প্রবাসী" অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন:
- "আমি প্রবাসী" অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে হবে।
- সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে বিএমইটিতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
- ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ হলে, অনলাইনে ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৩. অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন:
- বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্সি থেকে আবেদন করতে পারবেন।
- এজেন্সির মাধ্যমে কাগজপত্র এবং ভিসা ফি পরিশোধ করে ভিসা প্রসেসিং করা সম্ভব।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম (২০২৪):
১. ওয়ার্ক ভিসা:
- প্রক্রিয়াকরণ ফি: ৭৮,৯০০ টাকা।
- মালয়েশিয়া কলিং ভিসা: ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
- আনুষঙ্গিক খরচ: ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা (কাজের ভিসা গ্রহণের সম্পূর্ণ খরচ)।
২. ভিজিট ভিসা (Visit Visa):
- ভিসা প্রসেসিং ফি: ৫৮,৮০০ টাকা।
- আনুষঙ্গিক খরচ: আনুমানিক ৬০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা (ভ্রমণ খরচ সহ)।
মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন করার প্রক্রিয়া:
১. পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি জমা দিন।
২. ভিসা আবেদনপত্র পূরণ করুন।
৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ভিসা ফি সংযুক্ত করুন।
৪. নিকটস্থ মালয়েশিয়ান দূতাবাসে জমা দিন অথবা অনলাইনে জমা দিন।
ভিসা প্রসেসিং সময়:
- সাধারণত ৭-১০ কর্মদিবস সময় লাগে। তবে নির্ভর করে ভিসার ধরন এবং প্রসেসিং পদ্ধতির উপর।
ভিসা প্রত্যাখ্যানের কারণ:
- কাগজপত্রে ভুল তথ্য প্রদান।
- আবেদনপত্রে ত্রুটি।
- অপর্যাপ্ত কাগজপত্র সংযোজন।
মালয়েশিয়া ভিসা নবায়ন:
- ওয়ার্ক পারমিট বা স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষে নবায়নের জন্য স্থানীয় ইমিগ্রেশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
- ভিসা নবায়নের জন্য অতিরিক্ত ফি প্রযোজ্য হতে পারে।
এই নির্দেশনা অনুসরণ করে আপনি সহজেই মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া, আপনি যদি কর্মসংস্থানের জন্য যাচ্ছেন, তাহলে সরকার অনুমোদিত এজেন্সি এবং বিএমইটির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আবেদন করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মালয়েশিয়া কোন কোন ভিসা চালু আছে
মালয়েশিয়া কোন কোন ভিসা চালু আছে এই সম্পর্কে জানতে হলে এই অংশটুকু আপনাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। মালয়েশিয়া ২০২৪ সালে বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী ভিসা প্রদান করছে। আপনি যদি ভ্রমণ, শিক্ষা, চাকরি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে চান, তাহলে নিচের ভিসাগুলোর মধ্যে থেকে আপনার জন্য উপযুক্ত ভিসাটি বেছে নিতে পারেন।
মালয়েশিয়ায় ২০২৪ সালে যে ভিসাগুলো চালু রয়েছেঃ
-
মেডিকেল ভিসাঃ
এই ভিসাটি মূলত চিকিৎসা সেবার জন্য মালয়েশিয়া ভ্রমণকারীদের জন্য। যারা উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়া যেতে চান, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত। -
স্টুডেন্ট ভিসা:
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীরা এই ভিসা ব্যবহার করে। উচ্চশিক্ষার জন্য মালয়েশিয়া বর্তমানে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। -
এন্ট্রি ভিসা:
এন্ট্রি ভিসা সাধারণত ব্যবসায়িক বা সরকারি সফরের উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়।
-
ট্যুরিস্ট বা ভ্রমণ ভিসা:
মালয়েশিয়ায় পর্যটন ভ্রমণ করার জন্য এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ভিসা। যারা মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য এই ভিসা আদর্শ। -
বিজনেস ভিসা:
ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যারা মালয়েশিয়ায় যান, তাদের জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়। এটি বিভিন্ন ব্যবসায়িক মিটিং, প্রদর্শনী এবং অংশীদারিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। -
ওয়ার্ক পারমিট বা জব পারমিট ভিসা:
যারা মালয়েশিয়ায় চাকরি করতে চান, তারা এই ভিসার মাধ্যমে সেখানে বৈধভাবে কাজ করতে পারেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই ভিসার অধীনে মালয়েশিয়া যান। -
ফ্রি ভিসা:
ফ্রি ভিসা হল এমন একটি বিশেষ ভিসা, যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এবং এটির জন্য সাধারণত কোনও ফি দিতে হয় না। -
কনস্ট্রাকশন ভিসা:
নির্মাণ খাতে যারা কাজ করতে চান, তাদের জন্য এই ভিসা প্রদান করা হয়। -
ফ্যাক্টরি ভিসা:
যারা মালয়েশিয়ায় কারখানায় কাজ করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত ভিসা।
মালয়েশিয়া ২০২৪ সালে বিভিন্ন প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করছে। আপনি আপনার ভ্রমণ, শিক্ষা, চিকিৎসা, বা কাজের উদ্দেশ্যে সঠিক ভিসাটি বেছে নিতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে কত টাকা খরচ হবে?
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক অনেকেই জানতে চান, মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য কত টাকা খরচ হবে। ২০২৪ সালে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার খরচ নির্ভর করে আপনার ভ্রমণের উদ্দেশ্য, ভিসার ধরন, এবং অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সম্ভাব্য খরচগুলো কী কী হতে পারে।
- ভিসার ফিঃ মালয়েশিয়ায় যাওয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে ভিসার জন্য আবেদন করা। ভিসার ধরন অনুযায়ী এর ফি ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত ভিসার জন্য ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ট্যুরিস্ট ভিসার ফি কম, কিন্তু জব পারমিট ভিসার ফি তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে।
- বিমান টিকিটঃ বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য বিমান টিকিটের মূল্য একটি বড় খরচের অংশ। এয়ারলাইন্সের ধরনের উপর নির্ভর করে টিকিটের দাম ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে। সাধারণত, ফ্লাইটের সময় এবং বুকিংয়ের তারিখের উপর ভিত্তি করে টিকিটের দাম উঠানামা করে।
- মেডিকেল পরীক্ষাঃ মালয়েশিয়ায় কাজের উদ্দেশ্যে যেতে হলে একটি মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। এই পরীক্ষার খরচ সাধারণত ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, যা নির্ভর করে আপনি কোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করাচ্ছেন।
- এজেন্সি ফি (যদি থাকে)ঃ অনেক সময় ভ্রমণ বা কাজের জন্য বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। এজেন্সিগুলো সাধারণত পুরো প্রক্রিয়ার জন্য একটি ফি নিয়ে থাকে। এই ফি প্রায় ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি জব পারমিটের জন্য যাচ্ছেন।
- থাকা এবং অন্যান্য খরচঃ মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পর কিছু প্রাথমিক খরচের কথা মাথায় রাখতে হবে, যেমন- প্রথম কয়েক দিনের থাকার জন্য হোটেল ভাড়া এবং দৈনন্দিন খাবার। সাধারণত, প্রথম এক সপ্তাহের জন্য থাকা ও খাবারের খরচ প্রায় ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
- অন্যান্য খরচঃ মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে কিছু অন্যান্য খরচও থাকতে পারে, যেমন- পাসপোর্ট নবায়ন (যদি প্রয়োজন হয়), ছবি তোলার খরচ, এবং স্থানীয় পরিবহন খরচ। এই ধরনের ছোট খরচ মিলিয়ে প্রায় ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা হতে পারে।
মোট খরচের সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ
- ভিসার ফি: ৫,০০০ - ১৫,০০০ টাকা
- বিমান টিকিট: ৩০,০০০ - ৫০,০০০ টাকা
- মেডিকেল পরীক্ষা: ৫,০০০ - ১০,০০০ টাকা
- এজেন্সি ফি (যদি থাকে): ১ লাখ - ৩ লাখ টাকা
- থাকা ও অন্যান্য খরচ: ২০,০০০ - ৩০,০০০ টাকা
- অন্যান্য খরচ: ৫,০০০ - ১০,০০০ টাকা
মোট মিলিয়ে, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে খরচ ২ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে, যা ভিসার ধরন, ফ্লাইটের সময়, এবং আপনার ব্যক্তিগত চাহিদার উপর নির্ভর করবে।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা চেক
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য ভিসা চেক করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দালালের প্রতারণার শিকার হয়ে ভুয়া ভিসার মাধ্যমে প্রতারণা হয়, তাই মালয়েশিয়া ভিসার বৈধতা যাচাই করা আবশ্যক। এখানে আমরা দুই ধরনের ভিসা—নরমাল বা কলিং ভিসা এবং ই-ভিসা—কিভাবে চেক করবেন তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
নরমাল বা কলিং ভিসা চেক করার পদ্ধতি:
নরমাল বা কলিং ভিসা চেক করার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং ধাপে ধাপে নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে:
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ: প্রথমে মালয়েশিয়া সরকারের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান: ওয়েবসাইটে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার সঠিকভাবে লিখুন।
- জাতীয়তাবাদ নির্বাচন: জাতীয়তার ক্ষেত্রে "বাংলাদেশি" নির্বাচন করতে হবে।
- Craian বাটনে ক্লিক: সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণের পর "Craian" বা সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।
এখন আপনি আপনার ভিসার তথ্য দেখতে পাবেন, যেখানে আপনার নাম এবং জন্মতারিখ দেখতে পারবেন। যদি এই তথ্যগুলো ঠিকমতো দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে ভিসাটি বৈধ এবং সঠিক।
ই-ভিসা চেক করার পদ্ধতি:
ই-ভিসা চেক করার জন্য নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ: প্রথমে মালয়েশিয়ার নির্দিষ্ট ই-ভিসা চেকিং ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
- পাসপোর্ট নাম্বার দিন: ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর আপনার পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান করুন।
- স্টিকার নাম্বার প্রদান: আপনার ভিসার স্টিকার কপি থেকে পাওয়া স্টিকার নাম্বারটি লিখুন।
- ক্যাপচা কোড দিন: ইমেজের মাধ্যমে প্রদত্ত ক্যাপচা কোড লিখে দিন।
- চেক বাটনে ক্লিক করুন: সব তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর চেক বাটনে ক্লিক করলে আপনার ই-ভিসার সমস্ত তথ্য দেখতে পাবেন।
কেন ভিসা চেক করা গুরুত্বপূর্ণ?
ভিসা চেক করা খুবই জরুরি, কারণ অনেক দালাল ভুয়া ভিসা দিয়ে মানুষকে প্রতারিত করে থাকে। এর ফলে অনেক মানুষের অর্থ এবং সময় নষ্ট হয়। সুতরাং, মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার ভিসা বৈধ কিনা তা যাচাই করা উচিত।
ভিসা যাচাই করার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনার মালয়েশিয়া ভ্রমণ বা কাজের প্রক্রিয়া সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
মালয়েশিয়া ভিসা ফি কিভাবে দিতে হয়
মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ভিসা ফি প্রদান। ভিসা ফি প্রদান সঠিকভাবে এবং সময়মতো করতে না পারলে আপনার ভিসা আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই ফি পরিশোধের সঠিক পদ্ধতি জানা অত্যন্ত জরুরি। এখানে মালয়েশিয়া ভিসার ফি কিভাবে দিতে হয় তা ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো:
অনলাইন পেমেন্ট পদ্ধতি
বর্তমানে, মালয়েশিয়া ভিসার ফি প্রদান করার সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুততম উপায় হলো অনলাইন পেমেন্ট। আপনি যে পদ্ধতিতে ফি প্রদান করবেন তা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসার জন্য আবেদন করছেন। অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য সাধারণত নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয়:
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ: প্রথমে মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ভিসা আবেদন সাইটে (যেমন EMGS অথবা ই-ভিসা পোর্টাল) প্রবেশ করতে হবে।
- অ্যাকাউন্ট লগইন বা সাইন আপ: যদি আপনার অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। যদি থাকে, তাহলে লগইন করুন।
- ফি পরিশোধের অপশন নির্বাচন: লগইন করার পর আপনি ফি পরিশোধের অপশন দেখতে পাবেন।
- পেমেন্ট গেটওয়ে নির্বাচন: অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য বিকাশ, রকেট, নগদ, বা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড (Visa, MasterCard) ব্যবহার করতে পারেন।
- পেমেন্ট নিশ্চিতকরণ: পেমেন্ট করার পর একটি ট্রানজেকশন আইডি বা রিসিপ্ট পাবেন, যা ভিসার আবেদন ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
ব্যাংক পেমেন্ট পদ্ধতি
অনেকে অনলাইন পেমেন্টে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করলে ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি ফি জমা দিতে পারেন। ব্যাংকের মাধ্যমে ভিসা ফি প্রদান করতে হলে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে:
- ব্যাংকে ভিসা ফি জমা: প্রথমে আপনার নিকটস্থ অনুমোদিত ব্যাংকে গিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা ফি জমা দিতে হবে।
- ব্যাংক রিসিপ্ট সংগ্রহ: ব্যাংক থেকে একটি জমা রিসিপ্ট সংগ্রহ করতে হবে, যা ভিসা আবেদনের প্রমাণস্বরূপ জমা দিতে হবে।
- ফি জমার প্রমাণ সংযুক্ত: ব্যাংক রিসিপ্টের স্ক্যান কপি অনলাইনে আপনার ভিসা আবেদনের সাথে আপলোড করতে হবে অথবা অফিসে সরাসরি জমা দিতে হবে।
ভিসা সেন্টার অথবা এজেন্টের মাধ্যমে ফি প্রদান
আপনি যদি এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করে থাকেন, তাহলে এজেন্ট আপনার পক্ষ থেকে ফি প্রদান করবে। এই ক্ষেত্রে এজেন্টকে আপনার ফি প্রদান সংক্রান্ত তথ্য এবং সঠিক পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। এজেন্ট সাধারণত নিম্নলিখিত ধাপগুলো সম্পন্ন করে থাকে:
- ফি প্রদান: আপনার পক্ষ থেকে এজেন্ট অনলাইনে অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে ভিসা ফি পরিশোধ করবে।
- ফি রিসিপ্ট সংগ্রহ: এজেন্ট পেমেন্ট সম্পন্ন হলে আপনাকে একটি রিসিপ্ট প্রদান করবে, যা ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সংরক্ষণ করতে হবে।
পেমেন্টের প্রমাণ সংরক্ষণ
যে কোনো মাধ্যমে ভিসা ফি প্রদান করার পরে অবশ্যই পেমেন্টের প্রমাণ সংরক্ষণ করুন। এটি আপনার ভিসার আবেদন যাচাই করার সময় এবং পরবর্তী প্রক্রিয়ায় কাজে আসতে পারে। যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে পেমেন্টের প্রমাণ আপনার সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
মালয়েশিয়া ভিসার ফি প্রদান করার পদ্ধতিটি সহজ এবং সুসংগঠিত, কিন্তু এর প্রতিটি ধাপ সঠিকভাবে পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে পদ্ধতিতেই ফি প্রদান করুন, সবসময় আপনার পেমেন্ট রিসিপ্ট সংরক্ষণ করুন এবং সময়মতো ফি পরিশোধ নিশ্চিত করুন, যাতে আপনার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া মসৃণভাবে সম্পন্ন হয়।
মালয়েশিয়া টাকার রেট কত?
মালয়েশিয়ার মুদ্রার নাম হলো রিংগিত। রিংগিত (MYR) হলো মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক প্রচলিত মুদ্রা, যেমনভাবে বাংলাদেশে মুদ্রাকে টাকা বলা হয়। রিংগিত শব্দটি এসেছে মালয় ভাষা থেকে, যার অর্থ হলো "খাঁজকাটা"। এটি প্রথমবার চালু হয়েছিল ১৯৬৭ সালে, এবং বর্তমানে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
যদি আমরা রিংগিতের বিনিময় হার সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে জানবেন যে মালয়েশিয়ান রিংগিতের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। বর্তমানে ১ মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR) সমান প্রায় ২৪.৪৮ বাংলাদেশি টাকা। অর্থাৎ, যদি আপনার কাছে ১০০ রিংগিত থাকে, তাহলে বাংলাদেশি টাকায় এর মূল্য হবে প্রায় ২,৪৪৮ টাকা।
আরো পড়ুনঃ নভেম্বর মাসের ছুটির তালিকা ও দিবস ২০২৪ সম্পর্কে জেনে নিন
এই বিনিময় হার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে বাড়তে বা কমতে পারে। তাই আপনি যখন মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তখন সর্বশেষ বিনিময় হার জেনে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মালয়েশিয়ান ভিসা পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
মালয়েশিয়ার ভিসা পেতে হলে আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হয়। বিভিন্ন ধরনের ভিসার জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এখানে ওয়ার্ক পারমিট ও ভিজিট (ট্যুরিস্ট) ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো তুলে ধরা হলো:
মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি): আবেদনকারীর বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
- বয়স সীমা: আবেদনকারীর বয়স ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- BMET রেজিস্ট্রেশন: বিএমইটি (BMET) ডাটাবেজে রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- করোনা ভ্যাকসিন কার্ড: আবেদনকারীর করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট আবশ্যক।
- বৈধ পাসপোর্ট: কমপক্ষে ২ বছরের মেয়াদসহ পাসপোর্ট।
- BMET অথবা অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন: বিএমইটি কার্যালয় বা অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স: আবেদনকারীর নিকটবর্তী থানার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
মালয়েশিয়া ভিজিট (ট্যুরিস্ট) ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- বৈধ পাসপোর্ট: কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি): আবেদনকারীর বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র।
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- রিটার্ন এয়ার টিকিটের কপি: ভ্রমণের জন্য রিটার্ন টিকিট থাকা আবশ্যক।
- রেফারেন্স লেটার: কারো আমন্ত্রণে গেলে সেই ব্যক্তির রেফারেন্স লেটার প্রয়োজন।
- পূর্বের ভিসার কপি (যদি থাকে): পূর্বে মালয়েশিয়ান ভিসা থাকলে সেই ভিসার কপি।
- হোটেল বুকিং এর কপি: ভ্রমণের সময়কালের জন্য হোটেল বুকিং এর প্রমাণপত্র।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট: আবেদনকারীর আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ হিসেবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
অতিরিক্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- আবেদনকারীর পাসপোর্টের মেয়াদ অবশ্যই ভিসা আবেদনের তারিখ থেকে কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে।
- নির্ভুলভাবে তথ্য প্রদান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ভিসা প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত হয়।
মালয়েশিয়া ভিসা পেতে কতদিন লাগে?
মালয়েশিয়া ভিসা পেতে সাধারণত কতদিন সময় লাগে, তা বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণভাবে নিচে কিছু মূল তথ্য দেওয়া হলো:
প্রক্রিয়াকরণ সময়কাল:
- নরমাল ভিসা: সাধারণত মালয়েশিয়ার নরমাল ভিসা আবেদন করার পর প্রক্রিয়াকরণে ৭ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে।
- ই-ভিসা: ই-ভিসা আবেদন করার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াকরণ সময়কাল প্রায় ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
দলিলের সম্পূর্ণতা:
- আপনার দাখিল করা কাগজপত্র যদি সম্পূর্ণ এবং সঠিক হয়, তাহলে ভিসা অনুমোদনের সময়কাল কম হতে পারে। কিন্তু যদি কোনো সমস্যা হয় বা অতিরিক্ত তথ্য প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব হতে পারে।
সিজনাল ফ্যাক্টর:
- ভিসা আবেদনকালে বিভিন্ন মৌসুমে ভ্রমণকারী পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে, ভিসা প্রক্রিয়াকরণে কিছুটা সময় বাড়তে পারে।
সুতরাং, মালয়েশিয়া ভিসা পেতে সাধারণত ১ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। তাই, আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতি রেখে ভিসা আবেদন করা উচিৎ, যাতে প্রয়োজনীয় সময়ের মধ্যে ভিসা পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়া ভিসার সেই সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা
মালয়েশিয়া ভিসার সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQs) নিচে তুলে ধরা হলো:
১. মালয়েশিয়া ভিসার জন্য কোন কাগজপত্র দরকার?
-
সাধারণভাবে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোর মধ্যে
রয়েছে:
- বৈধ পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফর্ম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- রিটার্ন টিকিটের কপি
- হোটেল বুকিংয়ের কপি
২. মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়ার জন্য কি সময় লাগে?
- মালয়েশিয়া ভিসা পাওয়ার জন্য সাধারণত ৭ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে, তবে ই-ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়কাল ১ থেকে ৩ দিন হতে পারে।
৩. মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে কি করতে হয়?
- প্রথমে আপনাকে মালয়েশিয়ার দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফর্মটি পূরণ করে জমা দিতে হবে।
৪. কত ধরনের মালয়েশিয়া ভিসা আছে?
-
মালয়েশিয়া ভিসার প্রধান ধরনগুলো হলো:
- মেডিকেল ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- টুরিস্ট ভিসা
- বিজনেস ভিসা
- ওয়ার্ক পারমিট বা জব পারমিট ভিসা
৫. মালয়েশিয়া ভিসা রিফান্ড পলিসি কি?
- সাধারণত, ভিসা আবেদন ফি ফেরত পাওয়া যায় না, যদি আবেদনটি বাতিল করা হয় অথবা বাতিল করা হয়।
৬. মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য কি স্বাস্থ্য সনদ প্রয়োজন?
- করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির কারণে, বর্তমানে স্বাস্থ্য সনদ, বিশেষ করে ভ্যাকসিনেশন কার্ড থাকতে পারে।
৭. মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য কি ভিসার প্রয়োজন?
- যদি আপনি বাংলাদেশি নাগরিক হন, তবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য ভিসার প্রয়োজন হবে।
৮. অভিবাসন অধিকার এবং নিয়মাবলী কি?
- মালয়েশিয়ায় প্রবেশের পর ভিসার শর্তাবলী অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। ভিসার শর্ত ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এগুলো হলো মালয়েশিয়া ভিসার সম্পর্কে কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা। আপনার যদি অন্য কোনো প্রশ্ন থাকে, feel free to ask!
মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url