মেট্রোরেল সম্পর্কে যাবতীয় সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব

প্রিয় পাঠক, মেট্রোরেল সম্পর্কে যাবতীয় সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব সম্পর্কে জানতে চান? মেট্ররেল শহরের যানজট সমস্যা কমাতে এবং জনগণের যাতায়াতকে আরও সহজ, দ্রুত এবং আরামদায়ক করতে তৈরি করা হয়েছে। আজকের এই নিবন্ধে আমরা মেট্রোরেল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনাদের শিক্ষামূলক এবং সাধারণ জ্ঞান উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মেট্রোরেল নিয়ে এই রচনায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব যেমন, মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্দেশ্য, এর যাত্রা শুরুর তারিখ, স্টেশনগুলোর সংখ্যা, এবং এর কার্যকারিতা। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য এবং সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে এই তথ্যগুলো অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। চলুন, মেট্রোরেল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রবেশ করি।

পোস্ট সূচীপত্রঃ মেট্রোরেল সম্পর্কে যাবতীয় সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব

মেট্রোরেল সম্পর্কে যাবতীয় সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব

মেট্রোরেল সম্পর্কে ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো সরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক। মেট্রোরেল প্রকল্পের বিভিন্ন দিক যেমন এর ইতিহাস, কার্যকারিতা, নির্মাণ ও অর্থায়ন সংক্রান্ত তথ্যগুলো আপনাকে পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর পর্বে ভালো প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে। আশা করছি, এই প্রশ্নগুলো পড়ে আপনি মেট্রোরেল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন, যা আপনাকে যেকোনো পরীক্ষায় সঠিক উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান এবং চাকরির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ৪০টি প্রশ্নের উত্তর নিম্নরূপে দেয়া হলোঃ

১. প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেলের ব্যবস্থাকে কী বলা হয়?

উত্তর: ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট।

২. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের পরিচালনা ব্যবস্থার নাম কী?

উত্তর: কমিউনিকেশন বেজড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেম।

৩. প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করা হয় কবে?

উত্তর: ২৬ জুন ২০১৬।

৪. প্রশ্ন: প্রথম দফায় ঢাকা মেট্রোরেল (এমআরটি-৬) লাইনের দৈর্ঘ্য কত ছিল?

উত্তর: ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার।

৫. প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের নাম কী?

উত্তর: ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (DMTCL)।

৬. প্রশ্ন: DMTCL বা ঢাকা মেট্রোরেল ট্রানজিট কোম্পানি কবে গঠিত হয়?

উত্তর: ২০১৩ সালের ৩ জুন।

৭. প্রশ্ন: RSTP এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তর: Revised Strategic Transport Plan।

৮. প্রশ্ন: RSTP অনুযায়ী কয়টি ম্যাস র‍্যাপিড প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে?

উত্তর: ৫টি।

৯. প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের নাম কী?

উত্তর: দিল্লি মেট্রোরেল করপোরেশন।

১০. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে কোন প্রতিষ্ঠান?

উত্তর: থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ও চায়নার সিনোহাইড্রো করপোরেশন।

১১. প্রশ্ন: ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের বর্তমান দৈর্ঘ্য কত?

উত্তর: ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার।

১২. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশনসংখ্যা প্রথমে কত ছিল?

উত্তর: ১৬টি।

১৩. প্রশ্ন: সংশোধিত প্রকল্পে বর্তমানে স্টেশনসংখ্যা হবে কতটি?

উত্তর: ১৭টি।

১৪. প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পের সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদিত হয় কবে?

উত্তর: ১৯ জুলাই ২০২২।

১৫. প্রশ্ন: সংশোধিত প্রকল্পে (এমআরটি লাইন-৬) বর্তমান মেট্রোরেল হবে কোন স্টেশন পর্যন্ত?

উত্তর: উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত।

১৬. প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্প প্রথমে কোন পর্যন্ত ছিল?

উত্তর: উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত।

১৭. প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পের নতুন করে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে কত কিলোমিটার?

উত্তর: ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার।

১৮. প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন করছে কোন প্রতিষ্ঠান?

উত্তর: জাইকা (৭৫%) ও বাংলাদেশ সরকার।

১৯. প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল কত টাকা?

উত্তর: ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা।

২০. প্রশ্ন: সংশোধনের পর মেট্রোরেল প্রকল্পের নতুন ব্যয় কত টাকা?

উত্তর: ৩৩ হাজার ৪৭১ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা।

২১. প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পে জাইকা কত টাকা দেবে?

উত্তর: ১৯ হাজার ৭১৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা।

২২. প্রশ্ন: এমআরটি লাইন-৬ মেট্রোরেল প্রকল্প একনেকে অনুমোদিত হয় কবে?

উত্তর: ১৮ ডিসেম্বর ২০১২।

২৩. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের কোচগুলো/রেলগুলো কোন দেশ থেকে এসেছে?

উত্তর: জাপান।

২৪. প্রশ্ন: প্রথম ধাপে মেট্রোরেলের কত কিলোমিটার এবং কোন এলাকা চালু হয়েছে?

উত্তর: উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

২৫. প্রশ্ন: মিরপুর-১০ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয় কত তারিখে?

উত্তর: ২৯ নভেম্বর ২০২১।

২৬. প্রশ্ন: আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয় কবে?

উত্তর: ১২ ডিসেম্বর ২০২১।

২৭. প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উদ্বোধন করা হয় কবে?

উত্তর: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২।

২৮. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন কত তারিখে?

উত্তর: ৪ নভেম্বর ২০২৩।

২৯. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালকের নাম কী?

উত্তর: মরিয়ম আফিজা।

৩০. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী কে?

উত্তর: শেখ হাসিনা।

৩১. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ ভাড়া কত টাকা?

উত্তর: সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ টাকা।

৩২. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রতি কিলোমিটার ভাড়া কত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে?

উত্তর: ৫ টাকা।

৩৩. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য কত?

উত্তর: ১৮০ মিটার।

৩৪. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো কত তলা বিশিষ্ট?

উত্তর: ৩ তলা।

৩৫. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেন সর্বোচ্চ কত যাত্রী বহন করতে সক্ষম?

উত্তর: ২৩০৮ জন।

৩৬. প্রশ্ন: মেট্রোরেল প্রকল্পে জাইকা কত টাকা দেবে?

উত্তর: ১৯ হাজার ৭১৮ দশমিক ৪৭ কোটি টাকা।

৩৭. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?

উত্তর: প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।

৩৮. প্রশ্ন: মেট্রোরেলের মোট ট্রেন সংখ্যা কতটি?

উত্তর: ২৪টি।

৩৯. প্রশ্ন: পৃথিবীর প্রথম মেট্রোরেল চালু হয় কোন শহরে?

উত্তর: লন্ডন (১৮৬৩ সালে)।

৪০. প্রশ্ন: মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক কত টাকা মূল্যমানের স্মারক নোট চালু করেছে?

উত্তর: ৫০ টাকা।

এগুলোই হলো মেট্রোরেল সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞানের ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যা বিভিন্ন পরীক্ষায় সহায়ক হবে।

মেট্রোরেল ভ্রমণের আগে আপনার যা জানা জরুরী

ঢাকা মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য একটি অসাধারণ পরিবহন সেবা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এই ভ্রমণকে সুষ্ঠু ও আরামদায়ক করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। মেট্রোরেলে ভ্রমণের আগে এসব নিয়ম সম্পর্কে অবগত থাকা যেকোনো যাত্রীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মেট্রোরেলে যা করবেন নাঃ

  1. পোষা প্রাণী বা বিপজ্জনক বস্তু বহন করা থেকে বিরত থাকুন।
  2. পানের পিক বা থু থু স্টেশনে বা ট্রেনে ফেলবেন না।
  3. খাবার গ্রহণ প্লাটফর্ম বা ট্রেনের ভিতরে করবেন না।
  4. ময়লা যত্রতত্র ফেলবেন না, স্টেশন পরিষ্কার রাখুন।
  5. ফোনের স্পিকার ব্যবহার করে অন্য যাত্রীদের বিরক্ত করবেন না।
  6. স্টেশন ও ট্রেনের দরজায় কোনো ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না।
  7. লিফটে ধারণ ক্ষমতার বাইরে যাত্রী উঠবেন না, অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সুযোগ দিন।
  8. স্টেশনের ভিতরে ধুমপান বা পণ্য ফেরি করা থেকে বিরত থাকুন।
  9. অশালীন আচরণ বা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছবি বা ভিডিও করবেন না।

মেট্রোরেলে যা করবেনঃ

  1. স্টেশন কন্ট্রোলার বা নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তা চাইতে দ্বিধা করবেন না।
  2. টিকেটের সঠিক মূল্য দিয়ে টিকেট কাটুন।
  3. সহযাত্রীদের সহযোগীতা করুন এবং ভদ্র আচরণ বজায় রাখুন।
  4. মনোযোগ দিয়ে ঘোষণা শুনুন এবং স্টেশনের নিয়ম মেনে চলুন।
  5. বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের আগে উঠতে সুযোগ দিন।
  6. ট্রেনের প্লাটফর্মের ফাঁকা জায়গা লক্ষ্য করুন, দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্ক থাকুন।
  7. মালামাল নিরাপদে রাখুন এবং মালিকানাহীন কোনো বস্তু দেখতে পেলে কর্তৃপক্ষকে জানান।
  8. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন এবং প্লাটফর্মকে সুন্দর রাখুন।

মেট্রোরেল ভ্রমণকে আরও সুন্দর ও নিরাপদ করতে উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি। এই নিয়মগুলো মেনে চললে যাত্রা হবে আরও সুশৃঙ্খল এবং আরামদায়ক।

মেট্রোরেল রচনা

বর্তমান বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের প্রেক্ষিতে মেট্রোরেল একটি অন্যতম মেগা প্রকল্প। রাজধানী ঢাকা, যা তার জনসংখ্যা ও যানজটের কারণে কুখ্যাত, সেখানে মেট্রোরেল হচ্ছে সময়োপযোগী ও অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ। যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায়, মেট্রোরেল প্রকল্প ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।

মেট্রোরেল কি? মেট্রোরেল হলো মেট্রোপলিটন রেলওয়ের একটি দ্রুতগামী ও আধুনিক রূপ, যা মূলত নগরাঞ্চলের মানুষের পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করার জন্য তৈরি। বিদ্যুৎচালিত এই রেল, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্র্যাকের ওপর দিয়ে চলাচল করে। ঢাকা মেট্রোরেলকে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (MRT) বলা হয় এবং এর বিশেষত্ব হলো এটি যানজটমুক্ত, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।

মেট্রোরেলের গুরুত্বঃ ঢাকা শহরের প্রতিদিনের যানজট যে কারও জন্যই দুর্বিষহ। অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থীরা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, প্রায়ই ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের সুচারু কার্যকারিতা ঢাকাবাসীর জন্য অভাবনীয় সহায়তা দেবে। এটি কেবলমাত্র যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন করবে না, বরং এটি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথকেও মসৃণ করবে।

মেট্রোরেলের সুযোগ সুবিধাঃ মেট্রোরেলের বহুমুখী সুবিধার মধ্যে অন্যতম হলো এর উড়াল সড়কের মাধ্যমে যানজট থেকে মুক্ত পরিবহন ব্যবস্থা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.০১ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে ১৭টি স্টেশন রয়েছে, যা যাত্রীদের জন্য সহজ ও দ্রুতগামী যাতায়াত নিশ্চিত করে।

প্রতিটি ট্রেনে ছয়টি বগি রয়েছে, যেগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং আরামদায়ক। মেট্রোরেল প্রতিটি স্টেশনে ৪০ সেকেন্ড অবস্থান করবে এবং ৩৮ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছাবে। প্রতি ঘন্টায় ৬০,০০০ যাত্রী পরিবহন সক্ষম মেট্রোরেল ঢাকার নাগরিকদের যাতায়াতে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

প্রকল্পের ব্যয় ও অর্থায়নঃ মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৩,৪৭১ কোটি টাকা, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়েছে। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয়ের বাকি অংশ পূরণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের সময়োপযোগী বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে।

নির্মাণ কাজের অগ্রগতিঃ ২০২২ সালে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হয়ে গেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের মধ্যে পুরো প্রকল্প, অর্থাৎ কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল কার্যকর হবে।

মেট্রোরেল প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ঢাকার নাগরিক জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করবে। এটি যানজটের ভোগান্তি কমিয়ে দেবে এবং শহরের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ আরও গতি পাবে। সার্বিকভাবে মেট্রোরেল প্রকল্প বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মেট্রোরেলের সময়সূচি ও ভাড়া

মেট্রোরেল হলো ঢাকার যানজট নিরসনে অত্যন্ত কার্যকর একটি গণপরিবহন ব্যবস্থা। ২০২৩ সালে সময়সূচি পরিবর্তনের মাধ্যমে এর কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করে, নির্দিষ্ট সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে ট্রেন ছাড়ে। প্রতিকিলোমিটার ৫ টাকা ভাড়ার সঙ্গে ন্যূনতম ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ঢাকার যাত্রীরা দ্রুত ও সুবিধাজনকভাবে চলাচলের সুযোগ পাচ্ছেন।

মেট্রোরেল সময়সূচি

মেট্রোরেল চালুর পর এর সময়সূচিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩১শে মে থেকে মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করছে। এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন, যা যাত্রীদের সুবিধা বৃদ্ধি করেছে। এর আগের সময়সূচিতে মেট্রোরেল সকাল ৮:৩০ থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালু ছিল। এখন নতুন সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

নতুন সময়সূচি অনুসারে মেট্রোরেলের নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ার ফ্রিকোয়েন্সি ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি সময়ের জন্য আলাদা সময়মতো ট্রেন ছাড়ে:

  • সকাল ৮টা থেকে ১১টা: প্রতি ১০ মিনিট পরপর মেট্রোরেল ছাড়ে।
  • ১১টা থেকে বিকেল ৩টা: প্রতি ১৫ মিনিট পরপর মেট্রোরেল ছাড়ে।
  • বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা: আবার প্রতি ১০ মিনিট পরপর ট্রেন ছাড়ে।
  • সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা: প্রতি ১৫ মিনিট পরপর ট্রেন ছাড়ে।

মেট্রোরেল স্টেশন ও স্টপেজ
উদ্বোধনের পর থেকে মেট্রোরেল উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনে থামছে। এরপরে ধাপে ধাপে নতুন স্টেশনগুলোতে মেট্রোরেল থামানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্টেশনগুলো ধীরে ধীরে সংযুক্ত হয়েছে:

  • ২৫ জানুয়ারি ২০২৩: পল্লবী স্টেশন সংযুক্ত হয়।
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: উত্তরা সেন্টার স্টেশন (২ নাম্বার স্টেশন) সংযুক্ত হয়।
  • ১ মার্চ ২০২৩: মিরপুর-১০ নাম্বার স্টেশন সংযুক্ত হয়।
  • ১৫ মার্চ ২০২৩: কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ স্টেশন সংযুক্ত হয়।
  • ৩১ মার্চ ২০২৩: উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন সংযুক্ত হয়।

ঈদুল আযহা ২০২৪-এ মেট্রোরেল চলাচল
ঈদুল আযহা উপলক্ষে ২০২৪ সালের সেই দিনটিতে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

মেট্রোরেলের ভাড়া

উত্তরা নর্থ হতে

উত্তরা সেন্টার

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা সাউথ

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১১

ভাড়া ৩০ টাকা

পল্লবী

ভাড়া ৩০ টাকা

কাজীপাড়া

ভাড়া ৪০ টাকা

মিরপুর-১০

ভাড়া ২০ টাকা

আগারগাঁও

ভাড়া ৬০ টাকা

শেওড়াপাড়া

ভাড়া ৫০ টাকা

উত্তরা সেন্টার হতে

উত্তরা নর্থ

ভাড়া ২০ টাকা

পল্লবী

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা সাউথ

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১০

ভাড়া ৩০ টাকা

মিরপুর-১১

ভাড়া ৩০ টাকা

শেওড়াপাড়া

ভাড়া ৪০ টাকা

কাজীপাড়া

ভাড়া ৪০ টাকা

আগারগাঁও

ভাড়া ৫০ টাকা

উত্তরা সাউথ হতে

উত্তরা সেন্টার

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা নর্থ

ভাড়া ২০ টাকা

পল্লবী

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১০

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১১

ভাড়া ৩০ টাকা

শেওড়াপাড়া

ভাড়া ৩০ টাকা

কাজীপাড়া

ভাড়া ৪০ টাকা

আগারগাঁও

ভাড়া ৪০ টাকা

পল্লবী হতে

উত্তরা সেন্টার

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা সাউথ

ভাড়া ২০ টাকা

কাজীপাড়া

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা নর্থ

ভাড়া ৩০ টাকা

মিরপুর-১০

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১১

ভাড়া ২০ টাকা

আগারগাঁও

ভাড়া ৩০ টাকা

শেওড়াপাড়া

ভাড়া ৩০ টাকা

মিরপুর-১১ নম্বর থেকে

উত্তরা সেন্টার

ভাড়া ৩০ টাকা

পল্লবী

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা নর্থ

ভাড়া ৩০ টাকা

উত্তরা সাউথ

ভাড়া ২০ টাকা

কাজীপাড়া

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১০

ভাড়া ২০ টাকা

আগারগাঁও

ভাড়া ৩০ টাকা

শেওড়াপাড়া

ভাড়া ৩০ টাকা

মিরপুর-১০ হতে

পল্লবী

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১১

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা সেন্টার

ভাড়া ৩০ টাকা

উত্তরা সাউথ

ভাড়া ৩০ টাকা

আগারগাঁও

ভাড়া ২০ টাকা

কাজিপাড়া

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা নর্থ

ভাড়া ৪০ টাকা

শেওড়াপাড়া

ভাড়া ২০ টাকা

কাজীপাড়া হতে

পল্লবী

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১০

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১১

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তর সাউথ

ভাড়া ৩০ টাকা

উত্তর নর্থ

ভাড়া ৪০ টাকা

উত্তর সেন্টার

ভাড়া ৪০ টাকা

আগারগাঁও

ভাড়া ২০ টাকা

শেওড়াপাড়া

ভাড়া ২০ টাকা

শেওড়াপাড়া হতে

মিরপুর-১০

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১১

ভাড়া ২০ টাকা

কাজীপাড়া

ভাড়া ২০ টাকা

পল্লবী

ভাড়া ৩০ টাকা

উত্তরা সেন্টার

ভাড়া ৪০ টাকা

উত্তরা সাউথ

ভাড়া ৪০ টাকা

আগারগাঁও

ভাড়া ২০ টাকা

উত্তরা নর্থ

ভাড়া ৫০ টাকা

আগারগাঁও হতে

কাজীপাড়া

ভাড়া ২০ টাকা

শেওড়াপাড়া

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১০

ভাড়া ২০ টাকা

মিরপুর-১১

ভাড়া ৩০ টাকা

উত্তরা সাউথ

ভাড়া ৪০ টাকা

উত্তরা নর্থ

ভাড়া ৬০ টাকা

পল্লবী

ভাড়া ৩০ টাকা

উত্তরা সেন্টার

ভাড়া ৫০ টাকা


মেট্রোরেল স্টেশন সমূহ

মেট্রোরেল প্রকল্পটি ঢাকা শহরের যানজট নিরসন এবং পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। আধুনিক, দ্রুতগামী এবং পরিবেশবান্ধব এই মেট্রোরেল প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা খুব সহজেই সংযুক্ত হচ্ছে। ২০২৪ সালের মেট্রোরেল স্টেশন সমূহ ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রয়েছে। প্রতিটি স্টেশন অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও যাত্রীদের সুবিধার্থে ডিজাইন করা হয়েছে, যা নগরজীবনে দ্রুতগামী, নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদান করছে।

স্টেশন

STATION

উত্তরা কেন্দ্র

Uttara Center

উত্তরা নর্থ

Uttara North 

পল্লবী

Pallabi

উত্তরা দক্ষিণ

Uttara South

মিরপুর-১০

Mirpur-10

মিরপুর-১১

Mirpur-11

আগারগাঁও 

Agargaon

কাজীপাড়া

Kazipara

বিজয় স্বরনী

Bijoy Sarawni

শেওড়াপাড়া

Shewrapara

কারওয়ান বাজার

Karwan Bazar

ফার্মগেট

Framgate

শাহবাগ

Shahbag

মতিঝিল

Motijheel

বাংলাদেশ সচিবালয়

Bangladesh Secretatiat

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Dhaka University


মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

নিচে মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য তুলে ধরা হল। মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান হিসেবে এই সকল প্রশ্ন আসতে পারে। তাই এক নজরে মেট্রোরেল প্রকল্প অনুচ্ছেদ টি দেখে নিন।

১. প্রকল্পের সূচনা: মেট্রোরেল প্রকল্পটি ২০১৬ সালে গৃহীত হলেও মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে।

২. দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান: প্রকল্পটির দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস রাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (DMRTC), যা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান।

৩. অর্থায়ন: জাপানের সরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা মেট্রোরেল প্রকল্পের অর্থায়ন করেছে।

৪. ব্যয়ের পরিমাণ: মেট্রোরেল প্রকল্পে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ২২,০০০ কোটি টাকা।

৫. স্টেশন সংখ্যা: উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মোট ৯টি স্টেশন এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৭টি স্টেশন রয়েছে, যা মিলিয়ে মোট ১৬টি স্টেশন।

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের চুলের খুশকি দূর করার উপায় গুলো জেনে নিন

৬. ভাড়া: মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৭. দূরত্ব ও সময়: উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার, যা অতিক্রম করতে সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড।

৮. চালনের সময়সূচি: মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে, এবং শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে।

৯. ট্রেন শিডিউল: প্রথম স্তরে মেট্রোরেল প্রকল্পে মোট ২৪টি ট্রেন শিডিউল থাকবে।

১০. উদ্বোধন: ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্নের মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন, যা উত্তরা-আগারগাঁও রুটে চালু হয়।

এই তথ্যগুলো মেট্রোরেল সম্পর্কে একটি সহজ এবং সুন্দর ধারণা প্রদান করে, যা যেকোনো পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান হিসেবে উপকারে আসবে।

মেট্রো রেলের সময়সূচি

মেট্রোরেল চলাচলের সময়সূচিতে ২০২৩ সালের মাঝামাঝির দিকে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এছাড়া শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাত ৮:১৫ ও ৮:৩০ এ অতিরিক্ত দুটি ট্রেন সংযুক্ত করা হবে, যা আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত চলাচল করবে। এই ট্রেনগুলোতে MRT Pass/Rapid Pass ধারী যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।

সপ্তাহের দিনগুলোর জন্য সময়সূচি

রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার:

  • সকাল ৮টা থেকে ১১টা:
    • Peak Hour - Headway: ১০ মিনিট
  • সকাল ১১:০১ মিনিট থেকে ৪টা:
    • Off Peak Hour - Headway: ১২ মিনিট
  • বিকাল ৪:০১ মিনিট থেকে রাত ৮টা:
    • Peak Hour - Headway: ১০ মিনিট

শনিবার:

  • সকাল ৮টা থেকে ১১টা:
    • Off Peak Hour - Headway: ১২ মিনিট
  • সকাল ১১:০১ মিনিট থেকে রাত ৮টা:
    • Peak Hour - Headway: ১০ মিনিট

টিকিট ক্রয়ের সময়

  • একক টিকিট: সকাল ৭:৩০ থেকে রাত ৭:৩০ পর্যন্ত
  • MRT Pass: সকাল ৭:৩০ থেকে রাত ৮:০০ পর্যন্ত

সাপ্তাহিক বন্ধ

  • শুক্রবার: মেট্রোরেল সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে।

যাত্রা বিরতির স্থানসমূহ

মেট্রোরেল ৯টি স্থানে যাত্রা বিরতি করবে:

  1. উত্তরা উত্তর
  2. উত্তরা সেন্টার
  3. উত্তরা দক্ষিণ
  4. পল্লবী
  5. মিরপুর-১১
  6. মিরপুর-১০
  7. কাজীপাড়া
  8. শেওড়াপাড়া
  9. আগারগাঁও

মেট্রোরেল যাতায়াতের নতুন সময়সূচি এবং তথ্যগুলো যাত্রীদের জন্য সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক যোগাযোগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। এই আপডেট তথ্যগুলো সঠিকভাবে জানা থাকলে যাত্রীরা আরো সুগম ও সহজে মেট্রোরেল ব্যবহার করতে পারবেন।

মেট্রোরেল কবে উদ্বোধন করা হয়

মেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন initially ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে নির্ধারিত ছিল। তবে কিছু কারণে এই তারিখে উদ্বোধন সম্ভব হয়নি। অবশেষে, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী যাত্রাটি হয়েছিল দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত।

এই মেট্রোরেলে প্রথম ড্রাইভার হিসেবে নিযুক্ত হন একজন মহিলা, আফিজা, যিনি এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীদের জন্য নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। উদ্বোধনের পর মেট্রোরেল জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, এবং এখন পর্যন্ত এটি সুশৃঙ্খলভাবে চলমান রয়েছে।

ভ্রমণের জন্য নীতি ও প্রক্রিয়া

মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে চাইলে যাত্রীদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রথমে, যাত্রীকে কাউন্টার বা বুথ থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।

  1. ভ্রমণের ধরন নির্বাচন:

    • সিঙ্গেল ভ্রমণ
    • পার্মানেন্ট ভ্রমণ
  2. গন্তব্য নির্ধারণ:

    • যাত্রার গন্তব্য নির্ধারণ করতে হবে।
  3. টাকা পরিশোধ:

    • গন্তব্য অনুযায়ী টিকিটের মূল্য পরিশোধ করলে, যাত্রার জন্য টিকিট প্রস্তুত হয়ে যাবে।

মেট্রোরেল এখন ঢাকার যানবাহন ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা দ্রুত এবং সাশ্রয়ী যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়। আশা করা যায়, এটি জনগণের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করবে এবং দেশের যানবাহন ব্যবস্থায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

লেখকের মন্তব্যঃ মেট্রোরেল সম্পর্কে যাবতীয় সাধারণ জ্ঞান ও প্রশ্ন উত্তর পর্ব

আমরা এতক্ষণ আলোচনা করেছি মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান, প্রশ্ন ও উত্তর। এই তথ্যগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং বিশেষ করে মেট্রোরেল ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি এই বিষয়ে কোন মতামত বা পরামর্শ থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন, কারণ আমরা প্রত্যেকের মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে রিভিউ করি।

আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে এবং ভবিষ্যতে আপনারা মেট্রোরেল সম্পর্কিত বিভিন্ন রচনায় সফলতা অর্জন করবেন। ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! আপনার প্রতিক্রিয়া আমাদের জন্য মূল্যবান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url